বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে হামেশাই সরব হতে দেখা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। একশো দিনের প্রকল্প থেকে শুরু করে, আবাস যোজনা কিংবা গ্রামীণ সড়ক যোজনা একাধিক সরকারি প্রকল্পে বরাদ্দের টাকা আটকে রেখে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। তবে এবার দেখা গেল একেবারে উল্টো পুরাণ! জানা যাচ্ছে, অর্থ কমিশনের তরফ থেকে গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য বাংলার বরাদ্দের ৬৯৯ কোটি টাকা পেয়েছে নবান্ন (Nabanna)।
কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ৬৯৯ কোটি টাকা পেল নবান্ন (Nabanna)
কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অনুদান হিসেবে রাজ্যকে এই টাকা দিয়েছে। কেন্দ্রের এই বিপুল অনুদানের মধ্যে ৬৯৪. ৪৪৬৬ কোটি টাকা দ্বিতীয় কিস্তির এবং বাকি ৪.৯৩২৩ কোটি টাকা প্রথম কিস্তির। প্রসঙ্গত একাধিক সরকারি প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় ইতিমধ্যেই নিজস্ব কোষাগার থেকে আবাস প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে মোট ১২ লক্ষ মানুষের মাথার ওপর পাকা ছাদ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের (Nabanna) মোট ২১টি জেলা পরিষদ, ৩২৬টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৩২২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য এই অনুদান বরাদ্দ করা হয়েছে। যদিও দীর্ঘদিন ধরে একশো দিনের কাজের টাকা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা এবং আবাস যোজনার মতো একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রাখায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হামেশাই বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় রাজ্য সরকার নিজস্ব অর্থে প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে মাথা পিছু বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘খেলা হবে’! রাজ্যের চিকিৎসকদের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
জানা যাচ্ছে, রাজ্যকে বরাদ্দ করা অর্থ কমিশননের এই অনুদান মূলত ব্লক ও পঞ্চায়েতগুলির উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্যই ব্যয় করা হবে। শৌচাগার নির্মাণ থেকে শুরু করে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে লাগানো হবে এই টাকা। নবান্নের (Nabanna) তরফে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দের টাকা পেলে যেন দ্রুত খরচ করা হয়।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে প্রত্যেক অর্থবর্ষে দুই কিস্তিতে এই অনুদানের টাকা দেওয়া হয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে সংঘাতের মধ্যে এই অর্থপ্রাপ্তি রাজ্যের জন্য বিরাট স্বস্তির। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের দাবি এই অনুদান আগামীদিনে গ্রামীণ স্থানীয় প্রশাসনকে শক্তিশালী করতে এবং তার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও গ্রামগুলিকে স্বনির্ভর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।