বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অনুরোধে সাড়া কেন্দ্রের (Central Government)। পালসিট থেকে ডানকুনি পর্যন্ত জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। কেন্দ্রের ‘ভারতমালা’ প্রকল্পের আওতায় সেই চালু প্রকল্পের মাঝপথেই কিছু সংশোধনের জন্য অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সেই আর্জিতে সায় দিল মোদী সরকার।
বর্ধমানের পালশিট থেকে হুগলির ডানকুনি পর্যন্ত ৬ লেনের রাস্তা সম্প্রসারিত হচ্ছে। সেই ৬ লেনের রাস্তাটির প্রাথমিক নকশাকে ঘিরে আপত্তি শুরু হয়। জানা যায় প্রথমে ওই পথে সাবওয়ে করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না ওই এলাকায় ওভারব্রিজের দাবি তুলে সরব হয়েছিলেন।
এরপর ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এই নিয়ে কেন্দ্রকে অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রীও। এরপর গত অগাস্ট মাসে মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশের উল্লেখ করেই প্রস্তাবগুলি মানার কথা লিখিত ভাবে রাজ্যকে জানায় এনএইচএআই। ওই রাস্তার নির্মাণকাজ করছে আদানি গোষ্ঠী। সিঙ্গুর এলাকায় এই ধরনের পরিমার্জন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ এই সিঙ্গুরের (Singur) মাটি থেকেই মমতা অধ্যায়ের সোনালি সূত্রপাত।
আরও পড়ুন: ‘হ্যাপি বার্থডে প্রধানমন্ত্রী’, শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখলেন অভিষেক! ছোট্ট করে রিপ্লাইও দিয়ে দিলেন মোদী
জানা গিয়েছে এই প্রকল্পটি পরিমার্জন করতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বাড়তি খরচ হতে পারে। আসলে সিঙ্গুরের মতো এলাকায় ছয় লেনের রাস্তা তৈরি হলে রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হবেন সাধারন মানুষ। এই অসুবিধার কথা জানিয়েই রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়িকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিতিতেই হয়েছে কাজ।
আরও পড়ুন: এ যেন সায়গল টু! বান্ধবীকে ১২ লাখের গাড়ি, কোটি-কোটির সম্পত্তি, গ্রেফতার বীরভূমের কনস্টেবল
কেন্দ্র যে রাজ্যের দাবি মঞ্জুর করেছে সেই বিষয়ে শীলমোহর দিয়ে বেচারাম মান্না বলেন, “ওই এলাকায় পথ দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। দুর্ঘটনায় কৃষকমৃত্যুও ঘটেছে। অতিরিক্ত যা খরচ হবে তা কেন্দ্র সরকার বহন করবে। প্রাথমিক ভাবে তারা ৪০ কোটি টাকা মঞ্জুরও করেছে।”