দেশের সুরক্ষার জন্য বড় বিপদ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা, সংসদে স্পষ্ট জানাল কেন্দ্র

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর মায়ানমার থেকে অত্যাচারের শিকার হয়ে মূলত বাংলাদেশে পালিয়ে যান সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা (rohingya)। এরপর যত সময় গিয়েছে ভারতের একাধিক এলাকাতেও অনুপ্রবেশ ঘটেছে তাদের। দিল্লি থেকে আসাম জাল নথিপত্র জোগাড় করে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে রোহিঙ্গারা। প্রথম থেকেই রোহিঙ্গাদের প্রশ্নে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। একবার রাজ্যসভায় এ ব্যাপারে নিজেদের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট জানালো কেন্দ্রীয় সরকার (central government)।

বিরোধী দলের অনেকেই রাজ্যসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, সরকার কি মনে করে ভারতবর্ষে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন দিলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে? তারই উত্তর দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই (Nityanand Rai) এক লিখিত জবাবে জানান, “জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা। কারণ অনেক রোহিঙ্গাই বেআইনি কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েছে।” সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা থাকায় রোহিঙ্গাদের ভারতে পুনর্বাসন দিতে নারাজ কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, জামাত উল মুজাহিদিনের মতো বেশ কিছু জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুরা।

যদিও বিরোধী দল এবং বেশ কিছু মুসলিম সংগঠন এখনও চাইছে এদেশে শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে। কিন্তু নিজেদের দাবিতে অনড় কেন্দ্র। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গারা যে ক্রমশই বড় ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাও জানানো হয়েছে। তবে সিএএ লাগু হবার সম্ভাবনা থাকায় রোহিঙ্গারা যে বেশ কিছুটা ভয় পাচ্ছে একথাও স্পষ্ট। কারণ সেক্ষেত্রে উপযুক্ত নথিপত্রের অভাবে দেশ ছাড়তেই হবে তাদের।পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল এবং ভারতের বেশকিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই ভুয়ো নথিপত্র তৈরির ব্যাপারে জড়িত দালাল সিন্ডিকেট গুলির উপর নজর রাখছেন গোয়েন্দারা।

Rohingya crisis 1

জানা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ঢাকা দিয়ে রয়েছে বিভিন্ন নামে। জম্মু, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাইয়ের মত শহরেও প্রচুর রোহিঙ্গা নাম ভাঁড়িয়ে লুকিয়ে রয়েছে বলেই মত গোয়েন্দাদের। তবে জানা গিয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আসার ভয়ে অনেকেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ড থেকে শুরু করে মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজের সন্ধানে হারিয়ে যাচ্ছে তারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে, অনেকক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গ দিয়েই অনুপ্রবেশ করে এ ধরনের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা। তার পরেই তারা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

 

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর