বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্র থেকে শুরু করে রাজ্য, দেশের কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিক প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছে সরকার। এর মধ্যে অন্যতম হল প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা (PM Kisan Yojana)। এবার এই স্কিমেই ফের টাকা দিতে চলেছে সরকার (Central Government)। সম্প্রতি সেই দিনক্ষণ নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
কবে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে পিএম কিষাণের (PM Kisan Yojana) টাকা?
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা তথা পিএম কিষাণ প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন এদেশের অগুনতি কৃষক। সম্প্রতি তাঁদের বড় সুখবর দেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। তিনি জানান, চলতি মাসেই এই প্রকল্পের ১৯তম কিস্তির টাকা ছাড়তে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্ভাব্য দিনক্ষণও জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পিএম কিষাণের (PM Kisan Yojana) ১৯তম কিস্তির টাকা ছাড়তে পারে কেন্দ্র। এর আগে গত বছর অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্রের ওয়াশিম জেলায় এই প্রকল্পের ১৮তম কিস্তির টাকা ছাড়ার সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার ১৯তম কিস্তির টাকা ছাড়া নিয়ে বড় সুখবর দিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ অপেক্ষার অবসান! দেউচা পাঁচামি নিয়ে বড় সুখবর! মমতার ঘোষণার পরেই ‘অ্যাকশন’
রিপোর্ট বলছে, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিহারের ভাগলপুরের সরকারি অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার (PM Kisan Samman Nidhi) ১৯তম কিস্তির টাকা ছাড়তে পারেন পিএম মোদী। ১৮তম কিস্তির টাকা পাঠানোর পর কেটে গিয়েছে প্রায় চার মাস। এবার ১৯তম কিস্তির টাকা নিয়ে বড় সুখবর দিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, পিএম কিষাণ যোজনায় উপভোক্তা কৃষকরা প্রত্যেক বছর ৬০০০ টাকা করে পান। তিনটি কিস্তিতে ২০০০ টাকা করে দেয় সরকার। এবার এই স্কিম নিয়েই মিলল বড় সুখবর। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর জানানো দিনেই টাকা পাঠানো শুরু হয় কিনা আপাতত সেদিকেই নজর সকলের।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা (PM Kisan Yojana) নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে, যারা অন্যের জমিতে চাষ করেন, তাঁরা কি কেন্দ্রের এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন? নিয়ম অনুযায়ী, অন্যের জমিতে চাষ করা কৃষকদের এই স্কিমের সুবিধা দেওয়া হয় না। যে সকল কৃষকের নিজের নামে কৃষি জমি রেজিস্ট্রি করা রয়েছে, শুধুমাত্র তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পান। জানা যাচ্ছে, পিএম কিষাণ প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে আবেদনকারী কৃষকের অবশ্যই ২ হেক্টর কিংবা তার কম কৃষি জমি থাকতে হবে।