বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফ্লিপকার্ট, আমাজনের মত বড় বড় ই-কমার্স সংস্থাগুলি ভারতীয় বাজারে এখন রীতিমতো জনপ্রিয়। অনেক ক্ষেত্রে বড় ছাড়ের কারণে গ্রাহকরা এই ধরনের সংস্থাগুলি থেকেই বেশি জিনিসপত্র কেনে। কিন্তু এ ধরনের সংস্থাগুলির কারণে ক্রমাগত শেষ হয়ে যাচ্ছে ছোট ব্যবসায়ীরা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সংরক্ষণ একান্ত জরুরী। না হলে আগামী দিনে বড় সমস্যার মুখে পড়বেন তারা। একথা মাথায় রেখেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, আগামী দিনে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির মতই বড় ই কমার্স সংস্থাগুলির উপরেও বেশ কিছু নিয়মনীতি আরোপ করতে চায় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্দেশ দিয়েছেন উপভোক্তাকে সবসময় সুরক্ষিত রাখতে হবে এবং ছোট ব্যবসায়ীদেরও সুরক্ষিত রাখতে হবে। সেই কারণে ইতিমধ্যেই জনস্বার্থে সরকারি ওয়েবসাইটে বেশ কিছু নিয়ম নীতি সম্পর্কে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। আগামী দিনে পরামর্শগুলি বিবেচনা করে নিয়ম নীতি প্রচলন করতে চায় সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিএআইটি-ও এর আগে বারবার জানিয়েছে, বড় বড় ই-কমার্স সংস্থাগুলি ফুলে-ফেঁপে ওঠায় ক্রমাগত ক্ষতির মুখে পড়ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এদিন বিজেপি সাংসদ সুশীল কুমার সিংয়ের এক প্রশ্নের জবাবে পীযূষ গোয়ালও বলেন, বড় ই-কমার্স কোম্পানিগুলির দ্বারা ছোট দোকানদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমেরিকার উদাহরণও টেনে আনেন তিনি। তিনি বলেন, ই-কমার্স সংস্থার বাড়বাড়ন্তের কারণ এ সেখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রায় দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
এদিন লোকসভায় গোয়েল আরও জানিয়েছেন, ই-কমার্স কোম্পানীগুলির স্বেচ্ছাচারিতাকে রুখতে এর আগেও একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র সরকার। সরকার সবসময় কোম্পানী গুলির দিকে নজর রাখছে। যদিও অনেক ক্ষেত্রেই আইনি মারপ্যাঁচের মাধ্যমে তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা বিপত্তির সৃষ্টি করতে চাইছে কোম্পানিগুলি।
তিনি এও বলেন, ভারতে ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে আসতে দেওয়া হয়েছিল যাতে তারা একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে তারা সস্তা দামে পণ্য বিক্রি করলেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে গেলে তারা দাম বাড়িয়ে দেবেন। তখন জনতা বর্ধিত দামে জিনিস কিনতে বাধ্য হবে। এর জন্য সরকার একজন আধিকারিককে বসানোর কথাও ভাবছে, যিনি ক্রেতাদের অভিযোগ পর্যালোচনা করবেন।