বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশের আর্থিক বেহাল দশা, এই মুহূর্তে আর্থিক মন্দা থেকে উদ্ধার করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও চলতি বছরের মধ্যে দেশের আর্থিক অবস্থার খুব একটা সুরাহা হবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছিল বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা। তবে এবার দেশের রাজস্ব আদায় বাড়াতে পাঁচটি 51 শতাংশের নিচে থাকা সরকারি সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রিতে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
তাই এ বার দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংশোধন সংস্থা ভারত পেট্রোলিয়ামের সঙ্গে আরও চারটি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এক সাংবাদিক সম্মেলনে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংশোধন সংস্থা ভারত পেট্রোলিয়ামের 53.29 শতাংশ বিক্রি করার কথা ঘোষণা করেছেন, একই সঙ্গে THDC ইন্ডিয়া এবং এনটিপিসির নেকো পুরোটাই শেয়ার এনটিপিসির হাতে তুলে দেবে বলেই সূত্রের খবর।
Why do you think the Govt is selling the PSUs? Because thanks to the incompetent BJP Govt, our country is broke!https://t.co/k3QLsNvn71
— Gaurav Pandhi (@GauravPandhi) November 17, 2019
অন্য দিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন বিপিসিএল ছাড়াও শিপিং কর্পোরেশন এবং কন্টেনার কর্পোরেশন কেউ বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে নুমালিগড় তৈল সংশোধনাগার বিপিসিএল থেকে বিচ্ছিন্ন করে সেটি অন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সীতারামন।
আসলে ভারত পেট্রোলিয়ামের অংশীদারিত্ব বিক্রি করার পাশাপাশি প্রায় পঞ্চান্ন হাজার কোটি টাকা দেশের আর্থিক ভাণ্ডারে তুলতে চাইছে কেন্দ্র একই সঙ্গে শিপিং করপোরেশন থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা সরকারের ভাণ্ডারে প্রবেশ করতে পারে একই সঙ্গে ভারত পেট্রোলিয়াম শিপিং করপোরেশন এবং কংসের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে 66,388 কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চাইছে কেন্দ্র।
যেহেতু চলতি বছরে আর্থিক ঘাটতির হার বেশি তাই জিডিপি ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক দিকে রাজস্ব আদায় ঠিকঠাক হয়নি অন্যদিকে করপোরেট কর কমাতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র, তাই এই সিদ্ধান্ত। যদিও শুধুমাত্র ভারত পেট্রলিয়াম নয় এয়ার ইন্ডিয়াকে বিক্রি করে দেবে কেন্দ্র, যদিও গত বছরেই এয়ার ইন্ডিয়াকে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উত্সাহ না থাকায় সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় সরকার।