আবাস যোজনায় প্রধানমন্ত্রীর নাম না দিলে রাজ্যকে টাকা নয়! নবান্নকে চিঠি দিয়ে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পেছনে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক প্রকল্পগুলি যে মানুষকে বহুগুণে প্রভাবিত করে তুলেছে, তা বলাবাহুল্য। আর এক্ষেত্রে অতীতে একাধিকবার শাসকদলকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেয় বিরোধী দলগুলি। নরেন্দ্র মোদির প্রকল্পগুলির নাম পরিবর্তন করে রাজ্যের নামে বানিয়ে তারা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে, এহেন অভিযোগ বহুদিন ধরেই করে আসছে বিজেপি আর এবার সেই দাবি থেকে এক ধাপ উপরে উঠে বড় ঘোষণার পথে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর নাম এবার থেকে না দিলে প্রকল্পের টাকা আর পাবে না রাজ্য সরকার! এই সংক্রান্ত একটি চিঠি এদিন নবান্নে এসে পৌঁছেছে বলে খবর।

উল্লেখ্য, 2016-17 আর্থিক বর্ষ থেকে আবাস যোজনা প্রকল্প শুরু করা হয়। তবে পরবর্তীকালে কেন্দ্রের তরফ থেকে নাম পরিবর্তন করে আবাস যোজনা প্রকল্পটি নিজেদের নামে চালানো প্রসঙ্গে রাজ্যকে একটি চিঠি দেওয়া হয় আর এর ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় গত মে মাসে অপর একটি চিঠি দেয় কেন্দ্র। তবে দুবারই কোনরকম উত্তর না পেয়ে অবশেষে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ঘোষণা করল তারা। তবে এই চিঠির প্রত্যুত্তরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কি ঘোষণা করা হয়, সেটাই দেখার।

সম্প্রতি, কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ মিলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলে আর এদিন সেই সম্পর্কে চিঠি পাঠানো হলো বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এক্ষেত্রে চিঠির প্রধান বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে এসেছে নামবদল প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম পরিবর্তন করে বাংলার নাম ব্যবহার নিয়ম বিরুদ্ধ বলে এখানে উল্লেখ করা হয়।

বলে রাখা ভালো, রাজ্যের পক্ষে বহুদিন ধরেই বিজেপি নেতা নেত্রীরা এই প্রসঙ্গে শাসকদলের বিরোধিতা করে আসছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার একাধিকবার এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করে শাসকদলকে। বাংলা সরকার একের পর এক প্রকল্পগুলিকে যেভাবে নিজেদের নামে চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে মানুষের বঞ্চনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করতে থাকে তারা আর এই চিঠি তাদের দাবীকেই মান্যতা দিল।

mamata school
প্রতীকী ছবি

সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাঁচ মাস ধরে 100 দিনের কাজের টাকা বন্ধ রেখে উচিত কাজ করছেনা কেন্দ্র সরকার। এই প্রসঙ্গে আমি প্রধানমন্ত্রীর জবাব চাইছি।” এই বিষয়ে আবার উল্টো মতও রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে কলকাতায় এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, “কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রকে এইসকল প্রকল্পের কোনরকম হিসাব পাঠায়নি রাজ্য সরকার ।আমরা সব রকম হিসাব খতিয়ে দেখে তবেই টাকা পাঠাবো।” তবে বর্তমানে কেন্দ্র সরকার দ্বারা চিঠি পাঠিয়ে টাকা না দেওয়ার ঘোষণা যে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি আরো বাড়াবে, তা বলাবাহুল্য।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর