রাজ্যপালের রিপোর্টে ভরসা নেই? রিষড়া হিংসার পর্যবেক্ষণে হুগলীতে মোদীর টিম

বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাম নবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রিষড়া (Rishra clash)। গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। গণ্ডোগোলের জেরে আটকে যায় ট্রেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকা। এখন অবশেষে শান্তি ফিরে এসেছে রিষড়ায়। ঘটনার পরের দিনই উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে রিষড়ায় চলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে পুলিশ এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে শাসক দলের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিলেন তিনি। এ বার সংঘর্ষের কারণ খুঁজতে রিষড়ায় প্রতিনিধি দল (Fact Finding Team) পাঠাল কেন্দ্র। 

শনিবার দুপুরে ৬ জনের ওই দল কলকাতায় এসে পৌঁছেছে বলে খবর। এরপর বিমানবন্দর থেকে তাঁরা রওনা হয়েছেন রিষড়ার উদ্দেশ্যে। কেন্দ্রের এই দলকে বিজেপির দালাল বাহিনী বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিষড়ার ঘটনায় বহু ছিদ্র রয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি সূত্র মিলছে না এই ঘটনায়। 

rishra clashes

ঘটনার পরের দিন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সমালোচনা করেছে কলকাতা হাইকোর্টও। আদালতের মতে, গোয়েন্দা বিভাগ আরও একটু সতর্ক, সক্রিয় এবং উদ্যোগী হলে হয়তো এড়ানো যেত রিষড়ার ঘটনা। প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হুগলির রিষড়া। পুলিশের চেষ্টায় তখনকার মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরদিন ফের উত্তেজনা ছড়ায় রিষড়ার ৪ নম্বর রেলগেট এলাকায়। 

ঘটনার পরদিনই তড়িঘড়ি দার্জিলিং থেকে রিষড়ায় চলে যান বাংলার রাজপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে পুলিশের উদ্দেশ্যে শান্তি বজায় রাখার কড়া বার্তা দেন তিনি। একইসঙ্গে দোষীদের শাস্তি দেওয়ারও দাবি জানান। কিন্তু তাঁর বার্তায় খুব একটা সন্তুষ্ট দেখায়নি বিরোধী শিবিরকে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সেদিনই বলেন, রাজ্যপাল চাইলে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারতেন। এ ক্ষেত্রে তিনি পশ্চিমবঙ্গের দু’জন প্রাক্তন রাজ্যপালের উল্লেখ করেন।

এই ধরনের ঘটনায় সাধারণত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট পাঠায় রাজভবন। সেটাই নিয়ম এবং এতদিন সেটাই হয়ে এসেছে। রিষড়ায় যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং করবেন তা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই রাজ্যে দল পাঠাল দিল্লি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজ্যপালের পর্যবেক্ষণকে ভরসা করতে পারছে না কেন্দ্র? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, রাজ্যে ফের মেরুকরণের রাজনীতি শুরু হয়েছে। রিষড়ার ঘটনা তারই প্রমাণ। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর