সন্ধ্যা হলেই দোকানে উপচে পড়া ভিড়, ১৬ রকমের চপ বেচেই লাখপতি চুঁচুড়ার চাচু

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোট্ট একটি দোকান। সন্ধ্যাবেলা সেই দোকানে আলো জ্বললেই মৌমাছির মতো ভিড় করেন গ্রাহক। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন শয়ে-শয়ে মানুষ আসেন এই দোকানে চপ কিনতে। এই দোকানে চপের বাহারও রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। মাছের চপ, মাংসের চপ, চিকেন চপ, চিকেন বারমিশালি, আলুর চপ, মোচার চপ, ডিমের চপ সহ একাধিক সুস্বাদু চপের আইটেম পাওয়া যায় এই চাচুর চপের দোকানে।

হুগলির চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ের কাছেই আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে এই দোকানটি শুরু করেন বর্তমান দোকানদারের বাবা। তারপর প্রতিষ্ঠাতার দুই ছেলে ভানু ও অরূপ ব্যবসার হাল ধরেন। বংশ পরম্পরায় চলা এই চপের দোকানের খ্যাতি এতটাই যে দোকান শুরু হওয়া কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় সমস্ত আইটেম। দূর দূরান্ত থেকে আসা গ্রাহকরা এই দোকানে ৩০ মিনিট এমন কি কখনো কখনো ১ ঘন্টাও অপেক্ষা করেন চপ কেনার জন্য।

চপ দোকানের মালিক জানিয়েছেন, চপ তৈরির জন্য প্রতিদিন প্রায় ৮ কিলোর কাছাকাছি বেসন গুলতে হয়। ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার বিক্রি হয় প্রতিদিন তাদের দোকানে। সেই হিসাবে তাদের মাসিক রোজগার লাখ টাকার কাছাকাছি। স্থানীয়রা তাদের বাবাকে চাচু নামে সম্বোধন করতেন। সেই থেকেই এই চপের দোকানের নাম চাচুর চপের দোকান। দোকানের মালিক জানিয়েছেন তাদের চপের দাম শুরু হয় ৫ টাকা থেকে। সর্বাধিক ৫০ টাকা মূল্যের চপ পাওয়া যায় তাদের দোকানে।

Chachu chop

দোকানে চপ কিনতে আসা গ্রাহকদের কথায়, এই দোকানের চপ খুবই সুস্বাদু ও সাশ্রয়ী। তাই সন্ধ্যেবেলা টিফিন হোক কিংবা অতিথির আগমন, লাইন দিয়ে চাচুর দোকান থেকে চপ কেনা মাস্ট!

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর