বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় তিন বছর ধরে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল। শিক্ষাক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির জেরে চাকরি হারিয়েছেন বহু। অনেকের চাকরি এখনও ঝুলছে সুতোর উপর। বঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির শোরগোল শুরু যে ঘটনা ঘিরে তা ছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার চাকরি সম্পর্কিত। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়ে অনেক আগেই বাতিল হয়েছে তার চাকরি। এবার সেই ঘটনার আড়াই বছর পরে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অঙ্কিতা।
অভিজিতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা-Abhijit Gangopadhyay
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির জেরে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে চাকরি যায় অঙ্কিতার। এবার ২০২৫ সালে এসে হাইকোর্টের জোড়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মন্ত্রী-কন্যা। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল রায়কেও চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি।
আজ সোমবার অঙ্কিতার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এসএসসি মামলার সঙ্গে শুনানির তালিকায় রয়েছে। প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে স্কুল সার্ভিস সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বেআইনিভাবে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার ঘটনায় নাম জড়ায় পরেশ কন্যা অঙ্কিতার। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলাটির শুনানি চলাকালে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।
শুধু তাই নয়, দুই কিস্তিতে তার সমস্ত বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কন্যার চাকরি এবং বেতনের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা চলে যায় ববিতার কাছে। পরে তারও নম্বর মূল্যায়নে ভুল থাকায় শেষমেশ ওই চাকরি পান আরেক চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়। সেই চাকরি নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি।
আরও পড়ুন: ফাঁস মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল পেপার নিয়ে বিরাট শোরগোল
এবার সেই মামলাতেই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ২০২২ সালের ১৭ এবং ২০ মে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন অঙ্কিতা। প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক ধাক্কায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। পরে চাকরি পাওয়া অনামিকারও চাকরি বাতিল হয়ে যায়। ওই মামলাতেই ববিতাকে যুক্ত করেছেন অঙ্কিতা অধিকারী। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলায় ওপর পক্ষ হিসাবে রয়েছে রাজ্য সরকার, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং শিক্ষা দফতর।