প্রয়াত হলেন চম্বলের দুর্ধর্ষ ডাকাত মোহর সিং, মন্দির বাঁচাতে মোদীকে লিখেছিলেন চিঠি

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: একসময় তাঁর নামেই কাঁপত গোটা চম্বল (chambal)। ৩০০র অধিক অপরাধের কেস ঝুলছে যার নামে সেই প্রখ‍্যাত ডাকাত (dacoit) মোহর সিং (mohar singh) প্রয়াত হলেন। মঙ্গলবার নিজের জন্মস্থান মধ‍্যপ্রদেশের ভিন্দ জেলার মেহগাঁও কেসবা গ্রামে শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেন তিনি। মৃত‍্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। জানা যায় দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। চম্বল অঞ্চলের প্রখ‍্যাত ডাকাতদের মধ‍্যে মোহরই ছিলেন শেষ জীবিত ডাকাত।
১৯৫০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ডাকাতিতে হাতেখড়ি হয় মোহরের। মোহর সিং দত্ ছিল তাঁর আসল নাম। ১৯৫৫ সালে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এক ব‍্যক্তিকে খুন করেন মোহর। তারপর থেকেই ডাকাত হিসাবে নামডাক হয় তাঁর। রঘুনাথ কুশওয়াহা, জগমোহন, ফুলন দেবীর মতো কুখ‍্যাত ডাকাতদের সঙ্গে একই অঞ্চলে রাজ চলত মঝহর সিংয়ের। ৮৫ টি খুন সহ মোট ৩১৫টি মামলা ছিল তাঁর ওপর।


তাঁর লুঠতরাজে অতিষ্ঠ হয়ে ১৯৬০-৭০ সাল নাগাদ ৩ লক্ষ টাকা মাথার দাম ধার্য হয় মোহরের। অবশেষে ১৯৭২ এ জয় প্রকাশ নারায়নের কাছে ১৫০ জনের ডাকাত দল নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। কিন্তু আত্মসমর্পণের সময় তিনি বেশ কিছু শর্ত রাখেন। তাঁকে মৃত‍্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না, মুক্ত কারাগারে রাখা হয়েছিল তাঁকে। জীবন ধারনের জন‍্য দেওয়া হয়েছিল চাষের জমি।
৮ বছর বন্দিদশা কাটানোর পর ১৯৮০ সালে মুক্তি পান মোহর। তারপর রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। ১৯৮২তে মুক্তিপ্রাপ্ত চম্বল কে ডাকু ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি।
তবে জেলে কাটানোর পর আক্ষরিক অর্থেই ‘রত্নাকর দস‍্যু’ হয়ে উঠেছিলেন বাল্মিকী মুনি। বাকি জীবনটা দুঃস্থ মানুষের সেবাতেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন। নিজের গ্রামের গরীব পরিবারের মেয়েদের বিয়ের খরচ যোগাতেন তিনি। পেয়েছিলেন ‘রবিন হুড’ উপাধি। ২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে মোরেনার বাতেশ্বর মন্দির সংস্কারের জন‍্য আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লেখেন তিনি।

X