ভাঙা বাড়ি! রোদ, বৃষ্টি সবই ঢোকে ঘরে! দুর্দশার কথা জানিয়েও হয়নি সমাধান! বঙ্গধ্বনির মিছিল দেখেই কেঁদে ফেললেন চম্পা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাড়ির সামনে দিয়ে বঙ্গধ্বনি চলে যেতেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন চম্পা বাগদি (Champa Bagdi)। গলসি ১ নং ব্লকের পোতনা পুরষা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাষাপুর গ্রামের বাসিন্দা চম্পা বাগদি নিজের দুর্দশার কথা বলতে বলতেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন।

তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি কর্মসূচী
নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি কর্মসূচীতে শনিবার ভাষাপুর গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের সহসভাপতি জাকির হোসেনের। এই কথা শুনে সকাল থেকেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দা চম্পা বাগদি। ২০১৫ সালে স্বামীকে হারিয়ে তিন ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে কোনরকমে দিন কাটত তাঁর। তবে দুই ছেলে বিয়ের পর আলাদা হয়ে যায় এবং মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর ছোট ছেলেকে নিয়ে বহু কষ্টে দিন কাটে চম্পা বাগদির।

fbkshfushih

বাড়ি মেরামতের আবেদন জানালেন চম্পা বাগদি
তিনি জানান, ‘ছেলেটা মাধ্যমিক পাশ করার পর সংসার চালাতে দিনমজুরের কজা করে। কোনরকমে আধপেটা খেয়ে দিন চলে। কিন্তু তাঁর মধ্যে বাড়িটার যা অবস্থা মেরামত করার পয়সা কোথায় পাব? খড়ের ছাউনি তো বর্ষার সময় জল পড়ে, ত্রিপল দিয়েও কাজ হয় না। স্থানীয় নেতাদের অনেক বলেও কোন কাজ হয়নি। তাই বঙ্গধ্বনি যাত্রায় নেতার সঙ্গে দেখা করার জন্য সকাল থেকে ঘুরছি। মাথা গোজার ঠাই টুকু থাকলেও, বাড়িটা মেরামতের জন্য গিয়েছিলাম’।

এবিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা ওনার বাড়ি গিয়ে দেখেছি, খুবই খারাপ অবস্থা। তবে ওনার নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে, বাড়ির ব্যবস্থা করা হবে’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর