বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে চাণক্য (chanakya) একজন মহান তথা বিচক্ষণ পুরুষ। একাধারে তিনি ছিলেন রাজপরামর্শদাতা, শিক্ষক, দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ। তাঁর সময়কাল থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর পরামর্শ ও নীতি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর সাহায্য করেছে। চাণক্যের লেখা ‘চাণক্য নীতি’ ও ‘অর্থশাস্ত্র’ বইদুটি সমকালীন সমাজ ও অর্থনীতিতেও একই রকম তাৎপর্যপূর্ণ।
চাণক্য তাঁর চাণক্য নীতিতে বেশ কয়েকটি উপদেশ লিখে গিয়েছেন। এই সব উপদেশগুলি মেনে চললে জটিল থেকে জটিলতর পরিস্থিতিতেও সমাধান পেতে পারে মানুষ। চাণক্য নীতিতে তিনি এমন উপদেশও দিয়েছেন যা মেনে চললে মানুষ সকলের প্রিয় হয়ে উঠতে পারেন এবং সবাইকে নিজের বশে রাখতে পারেন।
যদিচ্ছসি বশিকর্তুন জগদেকেন কর্মণা৷
পরাপবাদসস্যেভ্য: গান চরন্তীন নিবারয়৷৷
এই শ্লোকের মাধ্যমে চাণক্য বলেন, যদি পুরো বিশ্বকে নিজের বশে করতে চান তাহলে একটাই কাজ করতে হবে। চাণক্য বলেন, অন্যের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা বন্ধ করলেই সকলে বশে থাকবে।
চাণক্য বলেন, সকলকে বশ করার একটাই উপায়, অন্যের নিন্দা বা সমালোচনা কখনও করা উচিত নয়। বশীকরণের এর থেকে ভাল উপায় আর কিছু নেই।
তাবন্মৌনেন নিয়ন্তে কোকিলশ্চৈব বাসরা:৷
যাবতসর্বং জনানন্দদায়িনী বান প্রবর্ততে৷৷
এই শ্লোকের মাধ্যমে চাণক্য বলেন, যতক্ষণ না বসন্ত আসছে কোকিল পাখি চুপ থাকে। কিন্তু বসন্ত আসতেই মধুর কণ্ঠে সকলের মন জিতে নেয়। তেমনই মানুষকেও সবসময় মিষ্টি কথা বলা উচিত। নাহলে চুপ করে থাকা উচিত।