বাংলাহান্ট ডেস্ক : কোন কাজটা ভুল আর কোনটা ঠিক তা বোঝার জন্য চাণক্যনীতি অনুসরণ করা অনিবার্য। চাণক্য নীতি মানুষকে সঠিক পথে চলতে শেখায়। চাণক্যের নীতি এবং দর্শন যারা মেনে চলবেন তারা জীবনে কখনো ভুল পথে চালিত হবেন না এবং জীবনে কখনো ঠকবেন না। বরং সাফল্যের শিখরে উঠবেন আপনি।
চাণক্যের রচিত নীতি শাস্ত্র চালক্য নীতি নামে পরিচিত। জীবনের সফলতা অর্জন করতে চাইলে চাণক্য নীতি অনুসরণ করা উচিত। তাহলে তার সফলতার শিরোধার্য। বিভিন্ন সময় মানুষের জীবনের সংকটকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে কোন কোন জিনিস মাথায় রাখলে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন, সেই নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছেন চাণক্য।
আরোও পড়ুন : লাগবে না একটা পয়সাও! ফ্রি’তেই হয়ে যাবে ৭ দিনের ভুটান ট্যুর, দেখে নিন কী উপায়ে ঘুরবেন
চাণক্যের মতে, স্বাস্থ্যই হলো কোন ব্যক্তির সবচেয়ে বড় সম্পদ। আর সেই কারণেই স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ সবল থাকলে আপনি সর্বাত্মক দিয়ে চেষ্টা করতে পারবেন এবং সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। তাই শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ সবল থাকা একজন মানুষের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ।
আরোও পড়ুন : মোমিনপুর থেকে মেট্রো ঢুকে যাবে পাতাল পথে! খিদিরপুরে শুরু হল টানেল খননের কাজ
যদি একজন ব্যক্তির কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি খুব সহজে এবং দ্রুত সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতেও পারে। আচার্য চাণক্য মনে করেন, সংকটের সময় একজন ব্যক্তির প্রকৃত বন্ধুকে চেনা যায়। সংকটের সময় অর্থ সঞ্চয় করা প্রয়োজন। অর্থের অভাব থাকলে সমস্যার সম্মুখীন হলে তারপর বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে আরও সমস্যা সৃষ্টি হয়।
বিপদ যখন আসে তখন সে বিপদ থেকে রেহাই পাওয়ার সুযোগ থাকে সীমিত, সেটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আপনার কোন ভুল সিদ্ধান্ত বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। আচার্য চাণক্য মনে করেন, সংকটের সময় পরিবারের প্রতি সমস্ত দায়িত্ব পালন করা হলো প্রত্যেকের কর্তব্য। তারা যাতে সহজে ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।