বাংলা হান্ট ডেস্ক : মানুষই মানুষকে ঠকায়, আবার মানুষই মানুষের পাশে দাঁড়ায়। ঘরে কিংবা বাইরে নিজের লোক মনে করে মানুষ চিনতে ভুল করেননি এমন ব্যক্তির সংখ্যা পৃথিবীতে বিরল। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আত্মীয় বা বন্ধুর ছদ্মবেশে আসা ব্যক্তিরাই ঠকিয়ে চলে যায়। শুধু তাই নয় এমন বহু আত্মীয় রয়েছে, যাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বললেই মনের মধ্যে তৈরি হয় নেগেটিভিটি। স্বয়ং চাণক্য (Chanakya) বলেছেন একথা।
আত্মীয়দের সম্পর্কে চাণক্যের (Chanakya) মত
তাই এইসব আত্মীয়দের সংসর্গ কিভাবে ত্যাগ করা যায় এবং এই আত্মীয়দের কিভাবে চিনে নেওয়া যায় সেই বিষয়েই বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে গেছেন আচার্য চাণক্য (Chanakya)। প্রাচীন ভারতের প্রসিদ্ধ কূটনীতিবিদ ও দার্শনিক চাণক্য জীবনের নানা দিক উপলব্ধি করেই তার মূল্যবান মতামত একটি গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। আর তার এই মূল্যবান নীতিই ‘চাণক্য নীতি’ হিসেবে সমাজে আলোচনা করা হয়।
এখন, মূল বিষয় হল কোন আত্মীয়ের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বলছেন চাণক্য (Chanakya)? চলুন সেই চর্চায় করা যাক আজকের প্রতিবেদনে। চাণক্যের (Chanakya) কথায়, এমন কিছু আত্মীয় (Relatives) রয়েছেন প্রায় সব পরিবারেই যারা দুঃখের সময় পাশে না থেকে, আপনার শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করতে থাকে। তাদের সঙ্গে সর্বদা দূরত্ব বজায় রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আরোও পড়ুন : ভারতের খরচে এদেশেই বাংলাদেশি বিচারকদের ট্রেনিং! তারপরেই যা করল ইউনূস সরকার….
শুধু তাই নয়, যেসব আত্মীয়রা সর্বক্ষেত্রে আপনার ভুলত্রুটি কেই আলোচনার বিষয়বস্তু করে তোলে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ না রাখাই ভালো। এইসব ব্যক্তিরা আপনার অজান্তেই আপনার মনের মধ্যে নেগেটিভিটি তৈরি করতে পারে। আবার কিছু জন আছেন, যারা নিজের কাছের মানুষের বিপন্ন পরিস্থিতির সুযোগ নেন। এই আত্মীয়দের আগেভাগেই চিনে রাখা দরকার।
চাণক্য নীতি অনুযায়ী, পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে এইরকম বহু মানুষ থাকেন যারা আপনার ভালো কিছু দেখলেই ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে কিন্তু আপনি নিজেই একদিন ঠকবেন। কিছু আত্মীয় আছেন, যারা সবসময়ই আপনাকে ইমোশনালি চাপে রাখতে চান। চাণক্য বলছেন, তাদের সঙ্গে কিন্তু একেবারেই ঘনিষ্ঠতা বাড়াবেন না।