বাংলা হান্ট ডেস্ক: আচার্য চাণক্য (Acharya Chanakya) ছিলেন ভারতের একজন মহান রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, এবং অর্থনীতিবিদ। এমনকি, তিনি জীবনের সকল বিষয়গুলি সম্পর্কে গভীরভাবে অধ্যয়ন করার পাশাপাশি, মানুষের সুষ্ঠু জীবনধারা সম্পর্কে সম্যক ধারণাও প্রদান করেছেন। এমতাবস্থায়, তাঁর বাস্তবিক চিন্তাধারার ওপর ভর করে চাণক্যের কথাগুলি বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতেও “চিরসত্য” হিসেবে বিবেচিত হয়।
মনে করা হয় যে, যদি কোনো ব্যক্তি তাঁর জীবনে আচার্য চাণক্য প্রদত্ত নীতিগুলি অনুসরণ করে চলেন, সেক্ষেত্রে তিনি তাঁর জীবনে চরম উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি, চাণক্য মহিলাদের আচার-আচরণ এবং তাঁদের মনোভাব সম্পর্কেও নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা সেই প্রসঙ্গটিই বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করছি।
মূলত, মহিলাদের ভালো ভাবে বুঝতে হলে তাঁদের মনকে বোঝা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমতাবস্থায়, আচার্য চাণক্য তাঁর নীতি গ্রন্থে মহিলাদের সম্পর্কে তাঁদের বিশেষ কিছু ইচ্ছের কথা বলেছেন যেগুলি তাঁরা সচরাচর প্রকাশ না করে মনের মধ্যেই লুকিয়ে রাখেন। পাশাপাশি, চাণক্য তাঁর নীতিতে মহিলা-পুরুষের ভাবনাগত দিক থেকে পার্থক্যের প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেন।
स्त्रीणां द्विगुण आहारो लज्जा चापि चतुर्गुणा ।
साहसं षड्गुणं चैव कामश्चाष्टगुणः स्मृतः ॥१७॥
এই শ্লোকের মাধ্যমেই চাণক্য মহিলাদের চারটি বিশেষ গুণের কথা বলেছেন। যেখানে তাঁরা পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
১. চাণক্যের মতে, মহিলারা পুরুষদের তুলনায় বেশি খেতে পছন্দ করেন। বলা হয়ে থাকে যে, মহিলাদের শারীরিক গঠন এমন যে তাঁদের পুরুষদের চেয়ে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। এমতাবস্থায়, চাণক্য বলেন, মহিলারা পুরুষদের চেয়ে বেশি ক্ষুধার্ত বোধ করেন।
২. চাণক্যের মতে, মহিলাদের বুদ্ধি পুরুষদের তুলনায় দ্রুত কাজ করে। অর্থাৎ, পুরুষদের তুলনায় তাঁরা আরও বুদ্ধিমান এবং চতুর হন। যার মাধ্যমে মহিলারা খুব সহজেই বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন।
৩. চাণক্য তাঁর শ্লোকটিতে আরও লিখেছেন, মহিলারা পুরুষদের চেয়ে বেশি সাহসী হন। কিন্তু সাধারণ মানুষরা মনে করেন যে, পুরুষরা মহিলাদের চেয়ে বেশি সাহসী।
৪. চাণক্য বলেছেন, মহিলারা পুরুষদের চেয়ে বেশি কাজ করতে সক্ষম হন। তাঁর মতে, পুরুষদের তুলনায় মহিলারা ৮ গুণ বেশি কাজ করতে পারেন।