বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) থেকে শুরু করে প্রাথমিক টেট (Primary Tet) দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বাংলা। যেভাবে শিক্ষা এবং চাকরির নামে ক্রমশ দুর্নীতির জাল গোটা বাংলায় বিস্তার লাভ করে চলেছে, তাতে চিন্তিত সকলেই। এই দুর্নীতি মামলা ইতিমধ্যে শাসকদলের একাধিক নেতা নেত্রীর নাম সামনে উঠে এসেছে। এর মাঝে কিছু সময় পূর্বে ‘রঞ্জন’ নামে এক কাল্পনিক নামের সন্ধান দেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস (Upen Biswas)।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতি মামলে রঞ্জন-এর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন তিনি আর এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বহুদিন পর আদালতে হাজির হলেন ‘রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডল। এক্ষেত্রে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসে কলকাতা হাইকোর্ট। এর পরেই খোঁজখবর পরবর্তী সময়ে জানা যায় যে, কাল্পনিক চরিত্র ‘রঞ্জন’ হল আসলে বাগদা এলাকার অধিবাসী চন্দন মণ্ডল। পরবর্তীতে, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে তাকে সমান পাঠানো হলে মাঝের বেশ কিছুটা সময় উধাও হয়ে যান চন্দন।
অবশেষে এ দিন কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে চন্দন দাবি করলেন, “আমি কারোর কাছ থেকে টাকা নিইনি। চাকরি দিতেও পারিনি।” উল্লেখ্য, এদিন বাগদায় চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি অফিসাররা।
আদালত সূত্রে খবর, এদিন চন্দন মণ্ডলের হাজিরা মাঝে উপেন বিশ্বাসকে তাঁর কাল্পনিক চরিত্র ‘রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলের প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, “আমি ব্যক্তি হিসেবে রঞ্জনকে চিনতাম না। শুধু নামটাই জানতাম।” পরবর্তীতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দেন উপেনবাবু এবং এক্ষেত্রে সঠিক তদন্ত হওয়ার দাবিও জানান তিনি।
পরবর্তীতে, সকল পক্ষের দাবি-দাওয়া শুনে আদালতের নির্দেশ, “উপেনবাবু যে সকল তথ্যগুলি আমাদের দিয়েছেন, তা সিবিআইকে দেওয়া হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে যা কিছু করা দরকার, সব করবে সিবিআই।”