সৌতিক চক্রবর্তী,শান্তিনিকেতন,বীরভূমঃ রবীন্দ্রভবন থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরি হয়েছিল ঠিকই কিন্তু চোরেরা ধরা পড়েনি। ঠিক একইভাবে বিশ্বভারতীতে একাধিকবার চন্দন গাছ চুরি হলেও চোরেরা ধরা পড়ছে না। কিন্তু কেনো? একদিকে যেমন গত ২০ সেপ্টেম্বর শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের মধ্যে থেকে দু’দুটি চন্দন গাছ চুরি করে পালানোর চেষ্টা করছিল চোরেরা। কিন্তু এই ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীরা একটি গাছ উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও চোরের দলকে ধরতে এখনো পারেনি। কিন্তু আজ আরো একবার উপাচার্যের বাড়ির পাশ থেকে চন্দন গাছ চুরির চেষ্টা করছে চোরেরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে,এত হাই সিকিউরিটি জোনের মধ্যে থেকে কী করে একাধিকবার এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে চোরেরা? কেনো ধরা পড়ছে না চোরের দল? তাহলে এর পিছনে রহস্যটা কী?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর বাড়ির পাশেই একটি জায়গা আছে। আর সেখানেই রয়েছে চন্দন গাছ। সেখান থেকেই চোরেরা কেটে নিলো একটি চন্দন গাছ। চোরেরা ওই গাছ কাটার সময় যদিও বিশ্বভারতী নিরাপত্তা কর্মীরা বুঝতে পেরে যায় ও তারা চোরেদের ধাওয়া করতে গেলে চোরেরা চন্দন গাছ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু তারা সেই তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরে ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গেছে।
![IMG 20191010 125148 IMG 20191010 125148](https://banglahunt.com/wp-content/uploads/IMG_20191010_125148-600x291.jpg)
বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা যাতে মজবুত হয় সেইজন্য কেন্দ্রীয় সরকার নিরাপত্তার খাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। কিন্তু সেখানে কি ভাবে এই কড়া নিরাপত্তা জোনের মধ্য দিয়েও চন্দন গাছ চুরি হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।