দুঃসময়ে মানুষের পাশে চন্দনা বাউড়ি, ভারত সেবাশ্রম সংঘের দেওয়া ত্রাণ তুলে দিলেন ১৫০ টি পরিবারের হাতে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দরিদ্র প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাঁকুড়ার শালতোড়ার (saltora) চন্দনা বাউড়ি (Chandana Bauri)। বিজেপির প্রার্থী তালিকার সর্বাধিক দরিদ্র প্রার্থীদের মধ্যে থাকা চন্দনা বাউড়ি প্রচারে ঝড় তুলে বিজেপিকে জয়ের স্বাদ পাইয়েছিলেন।

অত্যন্ত দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে পথ চলে আজকের দিনে তিনি শালতোড়ার বিজেপি বিধায়কের আসনে বসেছেন। তবে বিধায়ক হওয়ার পর একবার মাত্র গিয়েছিলেন বিধানসভায়, শপথ নেওয়ার জন্য। করোনা আবহের মধ্যেও মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন চন্দনা। মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে রাজনীতিতে আসার পর, এখনও সমানভাবে মানুষের পাশেই রয়েছেন।

একদিকে নিজে যেমন মানুষের পাশে থাকার কাজ করে চলেছেন, তেমনই অন্যদিকে শনিবার ভারত সেবাশ্রম সংঘের বালিগঞ্জ শাখা থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিলেন দুঃস্থ পরিবারের হাতে। শালতোড়া বিধানসভার রাজারামপুর গ্রামের প্রায় ১৫০ টি দুঃস্থ পরিবারের হাতে ত্রান তুলে দিয়ে সেকথা নিজেই ট্যুইট করে জানালেন চন্দনা বাউড়ি। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলার সংসদ ডঃ সুভাষ সরকার এবং বাঁকুড়া জেলার জেলা সভাপতির বিবেকানন্দ পাত্রও।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, কিছুদিন আগেই এক সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বেতন নিয়ে করা এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে, ঘুরিয়ে সাংবাদিককেই জিজ্ঞেস করেন ‘কত টাকা মাইনে পাব?’ উত্তরে সাংবাদিক হিসেব দেন- মাসে প্রায় ৮২ হাজার টাকা পান একজন বিধায়ক। তবে শপথ নেওয়ার দিন থেকে শুরু করে যদি জুন মাসের মধ্যে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে যায়, তাহলে প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি টাকা পাবেন তিনি। আর তা শুনেই আকাশ থেকে পড়েছিলেন চন্দনা বাউড়ি। কিন্তু এত টাকা দিয়ে করবেন, ভেবেই পাচ্ছিলেন না চন্দনা বাউরি।

chandana

তবে তিনি জানান, ‘বেতনের এত টাকা তো আমার দরকার নেই। আমাদের এখানে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ, বর্ষার সময় জল জমে, আবার খাবার জলেরও অনেক সমস্যা। বেতনের টাকা দিয়ে রাস্তাঘাট মেরামত এবং পানীয় জলের সংকট দূর করার চেষ্টা করব। আর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর বানাচ্ছি, ওতেই আমার চলে যাবে। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা শেখাচ্ছি, ওদের ভবিষ্যৎ ওরাই তৈরি করে নেবে’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর