বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নিজেই গরিব, তাই গরিবের কষ্ট বোঝে বিজেপির সবথেকে জনপ্রিয় বিধায়ক চন্দনা বাউরি। দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে এতদিন জীবনযাপন করেছেন। স্বপ্ন ছিল বিধায়ক হয়ে এলাকার দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। আর এবার সেই স্বপ্ন পূরণের খাতিরে রাস্তায় নেমেছেন চন্দনা। নেই চারচাকা গাড়ি, নেননি কেন্দ্রীয় সুরক্ষাও। অগত্যা বাইকের পিছনে বসেই এলাকার গরিব মানুষদের সাহায্যার্থে নেমে পড়েছেন তিনি।
বাঁকুড়ার শালতোড়া বিধানসভার অন্তর্গত বিশিণ্ডা গ্রামে এক অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান বিজেপির বিধায়ক চন্দনা বাউরি। সেখানে পিতা-মাতা হারাও ৪ অসহায় শিশুর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে তাঁদের বাড়িতে যান। তাঁদের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী, জামা-কাপড়,মাস্ক, স্যানিটাইজার তুলে দেন চন্দনা। তিনি যে আপদে-বিপদে তাঁদের পাশে থাকবে সেটাও বলে আসেন। এছাড়াও বিডিও সাহেবকে তাঁদের রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে আসেন চন্দনা।
করোনা সম্পর্কে এলাকার মানুষকে সচেতন করা, তাঁদের মাস্ক স্যানিটাইজার বিলি করা এবং অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলেন চন্দনা বাউরি। বলে রাখি, বিজেপির যেই ১৫ জন বিধায়ক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছেন, তাঁদের মধ্যে চন্দনা বাউরিও একজন। বিজেপির বিধায়করা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার দুটি কারণ দেখিয়েছেন।
প্রথম কারণটি হল, ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যের বহু বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া। তাঁরা এখনও বাড়ি ফিরতে পারেন নি। অনেকেই শাসক দলের কর্মীদের হাতে মার খাচ্ছেন, আবার অনেকের ইতিমধ্যে প্রাণও গিয়েছে। তাই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা বিজেপির বিধায়করা জানিয়েছেন যে, কর্মীরা যেখানে সুরক্ষা পাচ্ছেন না, সেখানে আমারা নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরাটা বিলাসিতা।
দ্বিতীয় কারণটি হল, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তায় চারজন রক্ষী ২৪ ঘণ্টাই বিজেপির বিধায়কদের পাশে থাকবেন। আর এই ২৪ ঘণ্টা তাঁদের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে বিশ্রাম করা এবং থাকার জায়গা বিধায়কদেরই ঠিক করে দিতে হবে। যেটা করা সম্ভব হচ্ছে না তাঁদের পক্ষে। বিশেষ করে এই কোভিডের মধ্যে। তাই তাঁরা নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে।