মেয়ের হাত ধরে স্বপ্নপূরণ, বিধানসভায় এসেই হতবাক হয়ে গেলেন চন্দনা বাউড়ির মা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বড় চমক ছিল শালতোড়ার চন্দনা বাউড়ি (chandana bauri)। একেবারেই প্রান্তিক পরিবার থেকে উঠে এসে বিজেপির টিকিটে প্রথম বারেই জ্যাকপট লাগে চন্দনার। জীবনে প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েই বিধায়ক হন তিনি। এবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন চন্দনা। তাঁর সঙ্গী এবার মা আরতি।

বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘটির বিহারগুড়িয়া গ্রামের ২ ছেলে ৩ মেয়ের মা আরতি দেবীর স্বপ্ন গুলো ছোট্ট ঘরটার চার দেওয়ালের বাইরে পা রাখতে পারেনি কখনওই। ঘুরে দেখা তো দূর, এর আগে সেভাবে কখনও কলকাতা আসাও হয়নি তাঁর। একবছর আগে কার্যতই ‘লটারি’ জিতেছেন মেয়ে চন্দনা। তার পর থেকে আপাতত তাঁর একটাই ইচ্ছে ছিল, মেয়ের হাত ধরেই ঘুরে ঘুরে দেখবেন পুরো বিধানসভা ভবন। আর সেই কারণেই এবার তিনি পাড়িও জমিয়েছিলেন ‘সূদূর কলকাতায়’।

বৃহস্পতিবার মেয়ে চন্দনার হাত ধরেই বিধানসভায় আসেন মা আরতি। কিন্তু রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডে তোলপাড় গোটা বিধানসভা। ফলে মাকে ঘুরিয়ে দেখানোর সময় কিছুতেই বের করতে পারেননি চন্দনা। প্রান্তিক মহিলা আরতির পক্ষেও সম্ভব হয়নি আড়ষ্টতা কাটিয়ে একাই ঘুরে দেখা সমস্ত বিধানসভা ভবন। ফলে এতদূর এসেও গোটা দিনটাই তাঁর কেটেছে বিজেপি পারিষদীয় দলের ঘরে বসে বসেই।

আপাতত মাকে নিয়েই কিড স্ট্রীটের বিধায়ক আবাসে থাকছেন মায়ের চোখে কেউকেটা মেয়ে। মাকে বিধানসভা ঘুরিয়ে দেখানোর সময় বের করতে না পারলেও দক্ষিণেশ্বর এবং বেলুড় ঘোরাতে চান বলেই জানিয়েছেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘কলকাতায় তো আমাদের আর কোনও থাকার জায়গা নেই। তাই এবার মা কে নিয়ে এসেছি। চেষ্টা করছি যাতে সবকিছু একটু ঘুরিয়ে দেখাতে পারি।’

কিন্তু নাহ, বৃহস্পতিবার সারাদিন বসে থেকেও মেয়ের রাজনৈতিক কাজের চাপে বিধানসভা ঘুরে দেখা হয়নি আরতি দেবীর। মেয়ে চন্দনার হাত ধরে তাঁর বাকি স্বপ্ন গুলোও সত্যিই হল নাকি অধরাই রইল সবকিছুই, সে উত্তর অবশ্য জানা নেই আমাদের।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর