বিধায়ক হিসেবে প্রাপ্য বেতনের অঙ্ক শুনে চক্ষু চড়ক গাছ চন্দনা বাউড়ির, ভেবেই পাচ্ছেন না কি কি করবেন ওই টাকায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে বিজেপির (bjp) পক্ষ থেকে জয়লাভ করেন বাঁকুড়ার শালতোড়ার (saltora) চন্দনা বাউড়ি (Chandana Bauri)। নির্বাচনে জয়লাভ করে বিধায়ক হওয়ার পর প্রথমবারের জন্য বিধানসভা গিয়েছিলেন শপথ নেওয়ার দিন। কিন্তু তারপর করোনা আবহে আর যাওয়া হয়নি। ফলে একজন বিধায়ক হিসেবে ঠিক কত টাকা মাইনে পাবেন, তা জানা হয়নি চন্দনার।

সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনে বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি জানালেন, বিধায়ক হিসেবে মাসে কত টাকা মাইনে পাবেন তা এখনও পর্যন্ত তিনি জানেন না। সাংবাদিকের কাছে ঘুরিয়েই তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কত টাকা মাইনে পাব?’ সাংবাদিক জানান- মাসে প্রায় ৮২ হাজার টাকা পান একজন বিধায়ক। তবে শপথ নেওয়ার দিন থেকে শুরু করে যদি জুন মাসের মধ্যে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে যায়, তাহলে প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি টাকা পাবেন তিনি। আর তা শুনেই আকাশ থেকে পড়েন চন্দনা বাউড়ি।

Ev4j6d4UYAIb5kY

তবে এত টাকা মাইনে পাওয়ার কথা শুনেও মানুষের কথাই চিন্তা করে গেলেন চন্দনা বাউড়ি। নিজের জন্য একটা গাড়ি কেনার ইচ্ছাও প্রকাশ করলেন না তিনি। তাঁর কথায়, ‘কি করব তা এখন ভাবতে পারছি না। তবে মানুষের যাতে ভালো হয়, এমন কিছু করব। অত টাকা তো আর আমাদের লাগবে না, তাই মানুষের কাজে লাগাব। আমার গাড়ির দরকার নেই। অনেক দাম। স্বামীর মোটর সাইকেল আছে তো, ওতেই হয়ে যাবে’।

বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বহুবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে সর্বাধিক দরিদ্র প্রার্থী চন্দনার নাম। প্রথম থেকেই যেভাবে তিনি প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন, তা নজরকাড়ার মত ছিল। অবশেষে দেখা যায়, যে মেয়েটি পান্তা খেয়ে দিন-রাত পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করেছিলেন, তাকেই পছন্দ করেছে শালতোড়ার মানুষ।

chandana 630x420 1

এমনকি দারিদ্রতার কারণে বাড়িতে টিভি না থাকায় নিজের প্রার্থী হওয়ার খবর পাশের বাড়ির থেকে পেয়েছিলেন চন্দনা। তবে এখন মাইনের কথা শুনেও নিজের জন্য একটা টিভি কেনার প্রয়োজন মনে করলেন না বিজেপি বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘ভোটের আগেই একটা মোবাইল কিনেছি। আর ওটাতেই ভালো টিভি দেখা যায়’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর