বাংলাহান্ট ডেস্ক : শুরু হয়ে গিয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজো। দুর্গাপুজোয় যেমন সিংহভাগ লাইমলাইট নিয়ে যায় কলকাতা এবং শহরতলি, জগদ্ধাত্রী পুজোয় তেমনি আলাদাই কদর চন্দননগরের (Chandannagar)। এমনিতেই যেকোনো পুজোতেই খোঁজ পড়ে চন্দননগরের আলোকসজ্জার। আর জগদ্ধাত্রী পুজোয় তো রীতিমতো আলোর মালায় সেজে ওঠে চন্দননগর। তবে এখানকার আরো একটি জিনিস বিখ্যাত, যা না বললে বড়ই অন্যায় হবে। তা হল মিষ্টি। মিঠাইপ্রেমীদের কাছে চন্দননগরের (Chandannagar) অন্যতম আকর্ষণ এখানকার জলভরা, মিষ্টি দই এবং অন্যান্য জিভে জল আনা সব মিষ্টি। পুজোয় ঘুরতে গেলে এই মিষ্টি গুলি না চাখলে বাস্তবিকই হবে ঘোর অন্যায়।
চন্দননগরের (Chandannagar) বিখ্যাত মিষ্টি জলভরা
চন্দননগর (Chandannagar) জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান, যেগুলি কয়েক দশক ধরে বাঙালির রসনা তৃপ্ত করে আসছে। এই তালিকায় প্রথমেই আসবে সূর্যকুমার মোদকের নাম। এই দোকানের জন্য সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক বেশ অভিনব ইতিহাসও। এ কাহিনি প্রায় ২০০ বছর আগেকার। ১৮১৮ সালে ভদ্রেশ্বরের জমিদার সূর্যকুমার মোদককে বলেছিলেন এমন এক বিশেষ মিষ্টি বানাতে যা খেয়ে তাঁর জামাইরা চমকে যাবে!
আরো পড়ুন : গ্রামের মেয়ে শহরের ছেলের দুষ্টুমিষ্টি গল্প, ‘পরিণীতা’র নায়িকা পারুলকে চেনেন?
জড়িয়ে রয়েছে দারুণ ইতিহাস
সূর্যকুমারও লেগে পড়েন বানাতে। মাথা খাটিয়ে বের করেন এক অভিনব মিষ্টি। কড়া পাকের সন্দেশের মধ্যে গোলাপ জল এবং তরল খেজুর গুড়ের মিশ্রণ, মিষ্টির নাম জলভরা। এই সন্দেশের জন্য আজও বিখ্যাত এই দোকান। এছাড়াও এখানে পাবেন পাতুরি এবং রসমাধুরী, তাও আবার বেকড।
আরো পড়ুন : ফুলের তোড়া নিয়ে মহানায়িকার পায়ের কাছে বসেছিলেন রাজ কাপুর, পত্রপাঠ তাঁকে বিদায় করেন সুচিত্রা সেন! কেন?
এই দোকান গুলিও ঘুরে দেখুন
এই চন্দননগরেই (Chandannagar) রয়েছে ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো দোকান মৃত্যুঞ্জয় সুইটস। এখান থেকে চেখে দেখুন লর্ড চমচম এবং ক্রিম চপ। এরপর চলুন বাবা পঞ্চানন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। মূলত ল্যাংচার জন্য বিখ্যাত হলেও এখানকার মৌচাক, সন্দেশও নিরাশ করবে না একদম।
শেষে যদি হরি গোপাল নন্দী অ্যান্ড সন্সকে ভুলে যান তাহলে বড় ভুল করবেন। ইনিই আবিষ্কার করেছিলেন গোলাপি প্যাঁড়া। সে সেই ১৯২০ সালের কথা। এছাড়াও এখান থেকে প্রাণহরা, ছানার মুড়কি, সরের নাড়ু খেয়ে এবং বাড়ির জন্য প্যাক করে ধরুন ফেরার ট্রেন।