বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাঞ্জাবের চণ্ডীগড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রথমবার ময়দানে নেমেই আম আদমি পার্টি তাঁদের ডঙ্কা বাজিয়ে দিয়েছে। AAP মোট ৩৫টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসন পেয়েছে। এছাড়াও বিজেপিও বড়সড় চমক দিয়ে ১২টি আসন দখল করেছে। শাসক দল কংগ্রেস ৮টি আসনে জয়ী হয়ে তৃতীয় হয়েছে। একটি আসনে জয় পেয়েছে শিরোমণি আকালি দল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচনের প্রভাব পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনেও দেখা যাবে। ৩৫টি ওয়ার্ডে হওয়া কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গণনা সোমবার সকালে শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই নির্বাচনী ফলাফলে আম আদমি পার্টির আধিপত্য। প্রথমে ঘোষণা হয়েছিল ১৩ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী ফলাফল। সেখানে AAP প্রার্থী চন্দ্রমুখী শর্মা যিনি এই আসনের জন্য শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসাবে বিবেচিত হয়েছিলেন, কংগ্রেসের শচীন গালভের কাছে পরাজিত হন। এর পর বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রার্থীদের হারিয়ে একের পর এক আসন দখল করে AAP।
একদিকে দুই প্রাক্তন মেয়র দেবেশ মুদগিল এবং রাজেশ কালিয়া হেরে যান, অন্যদিকে AAP প্রার্থী বর্তমান মেয়র রবিকান্ত শর্মাকে পরাজিত করেন। চণ্ডীগড় বিজেপির সভাপতি বিজয় রানা এবং কংগ্রেসের সভাপতি সুভাষ চাওলার ছেলে সুমিত চাওলা নির্বাচনে হেরে যান। এ ছাড়া বিজেপির জয়ের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হীরা নেগি, সুনিতা ধাওয়ানও নির্বাচনে হেরে যান, কংগ্রেস প্রার্থী সতীশ কাইন্থও নিজের আসন বাঁচাতে পারেননি।
বলে দিই, এবারের পাঞ্জাব নির্বাচন নিয়ে করা সমীক্ষায় সবথেকে বড় দল হিসেবে AAP-কেই দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে শাসক দল কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বলে দেখানো হয়েছে। বিজেপির তেমন কোনও ফল হবে না বলেও দেখানো হয়েছে। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনের আগে চণ্ডীগড় পুরনির্বাচনে একদিকে যেমন AAP নিজেদের ঝাণ্ডা গাড়ল। তেমনই বিজেপি তাঁদের অস্তিত্বের জানান দিল।
কৃষক আন্দোলনে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই দুই রাজ্যে বিজেপির করুণ দশার কথাও বর্ণনা করেছিল। কিন্তু কৃষি আইন তুলে নেওয়ার পর চণ্ডীগড়ে বিজেপির এই ফল আবার গেরুয়া শিবিরকে আশা যোগাচ্ছে। অন্যদিকে, পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট করে লড়ার ঘোষণা করেছেন। এখন দেখার বিষয় এটাই যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কী আদৌ পাঞ্জাবে দাঁত ফোটাতে পারে কী না।