বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশজুড়ে এখন একটাই ইস্যু তাহল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। যা ঘিরে এখন দেশজুড়ে শুধুই উত্তেজনা আর উত্তেজনা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই আইন পাশ হওয়ার আগে থেকেই যেভাবে দেশজুড়ে সমালচনা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল তাতে মনে হয়েছিল পাশ হবে না। কিন্তু শেষ অবধি তা পাশ হলই। আইনে পরিনত হয়েছে। কিন্তু এবার কার্যকর করতে বাধা দিচ্ছে দেশবাসী।
If #CAA2019 is not related to any religion why are we stating – Hindu,Sikh,Boudha, Christians, Parsis & Jains only! Why not include #Muslims as well? Let's be transparent
— Chandra Kumar Bose (@Chandrakbose) December 23, 2019
সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই কিন্তু আতঙ্কে ভুগছে। তাই তো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। হিন্দু ছাড়া কোনো মুসলিমদের কথাই কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে লেখা নেই। কিন্তু কেন। সকলেই একটাই দাবি। তাহলে কি সাম্প্রদায়িক বিভাজনের নীতি চলছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার বার বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়দের কথা উল্লেখ করেছেন।
তবে এবার বিজোপির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নেতাজীরি পরিবার। তাই তো নাগরিকত্ব সংশোধনী আিনের সমর্থণে মহামিছিলের রেশ কাটতে না কাটেই বিজেপির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বসু পরিবারের সদস্য তথা বিজেপির নেতা চন্দ্র কুমার বসু। তাঁর প্রশ্ন যদি সিএএ ধর্ম সম্পর্কিত না হয় তাহলে কেন হিন্দু শিখ পার্সি খ্রীষ্টান বৌদ্ধদের কথা তুলে ধরছি। কেন নাম নিচ্ছি আমরা।
Don't equate India or compare it with any other nation- as it's a nation Open to all religions and communities
— Chandra Kumar Bose (@Chandrakbose) December 23, 2019
অর্থাত্ সেখানে কেন মুসলিমদের নাম নেই। তাই তো ট্যুইট করে তিনি ভারতে সমস্ত ধর্মের মানুষের একসঙ্গে থাকার কথা তুলে ধরে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। যদিও এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। আরও একটি ট্যুইট করে চন্দ্র কুমার বসু লেখেন, ‘প্রাচীনকাল থেকেই সমস্ত ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। তাই একে বিভাজন করবেন না। আর এই দেশের সঙ্গে অন্য কোনও দেশের তুলনা করাও চলবে না।’