মাধ্যমিকে দ্বিতীয়, উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম! মেরুদণ্ড বাঁকাব না বললেন অনুব্রতকে বেডরেস্ট লেখা চিকিৎসক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মঙ্গলবারে অনুব্রত মণ্ডল কে বেড রেস্ট দিতে হবে পরামর্শ দিয়েছিলেন বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। অনুব্রতর বাড়ি গিয়ে তার চিকিৎসা করে বিপাকে ডক্টর চন্দ্রনাথ।

মাধ্যমিকের দ্বিতীয় হয়েছিলেন এবং উচ্চমাধ্যমিকে হয়েছিলেন সারা রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী। জয়েন্ট এন্ট্রান্সে গোটা রাজ্যের নামের ক্রমতালিকায় ২২ নম্বরে ছিল তার নাম। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্র এরপর কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।

মঙ্গলবার সকালে তার নির্দেশে অনুব্রত কে বেড রেস্ট দেওয়ার পর থেকেই চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে অসততার অভিযোগ উঠছিল ক্রমাগত। সংবাদ মাধ্যম থেকে নেট মাধ্যম সব জায়গায় শুরু হয়ে যায় চন্দ্রনাথের সততা নিয়ে প্রশ্ন। অবশেষে তার কয়েক ঘণ্টা পরেই নিজেরই করা চিকিৎসার ব্যাপারে মন্তব্য করলেন চন্দ্রনাথ।

চিকিৎসক চন্দ্রনাথের দাবি , অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে বসে একটি সাদা কাগজে তাকে দিয়ে জোর করে বেড রেস্টের পরামর্শ লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

সংবাদ মাধ্যমের সামনেই তিনি বেশ বুক ফুলিয়েই বলেছেন , ” মাধ্যমিকে সারা রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছিলাম এবং উচ্চমাধ্যমিকে সারা রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছিলাম, জয়েন্ট এন্ট্রান্স এর কাউন্সিলিং এ ও আমার স্থান ছিল ২২ এ। সেদিন থেকে আজ অব্দি আমি নিজের মেরুদন্ডটা সোজাই রেখেছি।”

কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করার পর চন্দ্রনাথ শিশু রোগ চিকিৎসায় ডিপ্লোমা করেন কলকাতার বি.সি. রায় হাসপাতাল থেকে। তারপর তিনি সার্জারিতে স্নাতকোত্তর পাশ করেন কলকাতার এসএসকেএম হসপিটাল থেকে। গত ছয় বছর আগে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন । এরপর তিনি উত্তর দিনাজপুর মুর্শিদাবাদে চাকরি করার পরে বীরভূমের বোলপুরে বদলি হন।

মঙ্গলবার এর পর থেকেই বিতর্কে জড়িয়ে যায় তার নাম। চন্দ্রনাথের কথায় , মঙ্গলবার চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে তাকে অনুব্রতর বাড়িতে বসে একটি সাদা কাগজে বেড রেস্টের পরামর্শ লিখে দিতে হয়েছিল। অনুব্রত এর মতন একজন অতিব প্রভাব বিস্তারকারী রাজনৈতিক নেতার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে সত্যি কথাটা বলা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। তিনি এটাও বুঝতে পেরেছিলেন যে সাদা কাগজে ওভাবে বেড রেস্টের পরামর্শ লিখে দিয়ে তিনি নানা রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। শুধু তাই নয় তিনি ভুগছিলেন নিজের বিবেক দংশনেও। সেই কারণেই সংবাদমাধ্যমের কাছে অকপটে স্বীকার করে নেন সব কথা। তার কথায়, ” আমি বরাবর সত্যের পথে চলেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছিল যেন সাধারণ মানুষের চোখে আমি হেয় হয়ে যাচ্ছি। আমি বরাবরই অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। আমার মেরুদণ্ডটা আমি এভাবে বাঁকাতে পারবো না।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর