বড়ো সাফল্য পেল ISRO! মিশন চন্দ্রযান-২ খুললো চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বহু রহস্য।

প্রাচীন সময় থেকে ভারতের ঋষি মুনিরা মহাকাশের রহস্য সম্পর্কে জ্ঞান পুরো বিশ্বকে দিয়ে এসেছেন। তথ্যগুলি যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য ভারতীয় সংস্কৃতি ও সংষ্কারের সাথে জুড়ে দিয়েছিলেন। এই কারনে আজও গ্রহণের তারিখ জানতে যখন আমেরিকা বা ইউরোপবাসী দুরবীনের দিকে তাকায়, তখন ভারতীয়রা পঞ্জিকা খুলেই অমাবস্যা, পূর্ণিমা, সূর্য গ্রহণ জ চন্দ্র গ্রহণের সময় বলে দেয়। বর্তমান সময়ে ভারতের মহাকাশ অনুসন্ধান সংস্থা ISRO ভারতীয়দের প্রতিভাবে আরো একবার বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হচ্ছে। প্রাচীন ঋষি মুনিদের DNA এখনো ভারতীয় সমাজে রয়েছে তা কাজের মাধ্যমে দেখাতে পেরেছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। কম খরচে মহাকাশ অভিযানের বড়ো বড়ো প্রজেক্ট কিভাবে সম্পূর্ণ করতে হয় তা দেখিয়েছে ভারতের বিজ্ঞানীরা।

IMG 20191025 WA0078

 

চন্দ্রযান-২ সম্পর্কিত একটা খবর ISRO সূত্রে সামনে এসেছে। আসলে চাঁদের চারিদিক ঘুরতে থাকা অর্বিটার প্রতিদিন নতুন ছবির সাহায্যে নিত্যনতুন তথ্য প্রকাশ করছে। ISRO এখন চাঁদের রঙিন ফোটো জনসাধারণের জন্য জারি করেছে। অর্বিটারে থাকা DFSAR চাঁদের অনেক উন্নতমানের ছবি তুলতে সক্ষম। যার মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কোথায় গহ্বর, কোথায় পাহাড়, কোথায় সমতল ইত্যাদি পরিষ্কার দেখা যায়। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা চাঁদে হিলিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের সন্ধানে রয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে জন কল্যানের জন্য তা কাজে লাগানো হয়। এক্ষেত্রে চাঁদের মধ্যে থাকা গহ্বর, পাহাড় ইত্যাদির পরিস্কার ছবি ও তথ্য আসা অত্যন্ত আবশ্যক। DFSAR এর মাধ্যমে ISRO এর কাছে যে ছবিগুলো আসছে তা NASA পর্যন্ত তুলতে পারেনি। তাই এটা ভারিতীয় বিজ্ঞানীদের জন্য বড়ো জয়। এর মাধ্যমে ISRO বহু রহস্য ভেদ করতে সক্ষম হবে যা আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।

IMG 20191025 WA0079

 

 

ISRO এর চন্দ্রযান-২ থেকে যা তথ্য আসছে তা ISRO এর নিন্দুকদের গালে থাপ্পড় এর থেকে কিছু কম নয়। কারণ বেশকিছু নিন্দুকগণ দাবি করেছিল যে চন্দ্রযান-২ পুরোপুরি ব্যার্থ হয়েছে। যদিও ISRO স্পষ্ট জানিয়েছিল যে চন্দ্রযান-২,  ৯৮% সফল হয়েছে। কিছুজন তো ISRO চেয়ারম্যান কে সিভানের মন্দির যাওয়া নিয়েও উপহাস করেছিল। তারা সম্ভবত এটা জানেন না যে সনাতন ধর্ম ও বিজ্ঞান একে ওপরের সাথে জড়িত। এমনকি বিশ্বের সবথেকে বড়ো নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টার CERN এ ভগবান শিবের তান্ডব মূর্তি রাখা হয়েছে। অথচ CERN ইউরোপ তথা খ্রিস্টানবহুল দেশে রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে শক্তির উৎপত্তি থেকে ধ্বংস সমস্থই শিব তান্ডবের মধ্যে নিহিত আছে। তাই শিবমূর্তি লাগানো হয়েছে রিসার্চ সেন্টারে।


সম্পর্কিত খবর