আন্তর্জাতিক স্তরে চন্দ্রযান-৩-এর ভূয়সী প্রশংসা! মিলল পুরস্কারও, বিশ্বের মঞ্চে জয়জয়কার ISRO-র

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) মিশনের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফল অবতরণ করে ইতিহাস তৈরি করেছে ISRO (Indian Space Research Organisation)। যার ফলে সমগ্র বিশ্বজুড়েই প্রশংসা কুড়িয়েছে ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তবে, এবার একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে, চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্যের জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দলটিকে গত সোমবার “২০২৪ জন এল. ‘জ্যাক’ সুইগার্ট জুনিয়র অ্যাওয়ার্ড ফর স্পেস এক্সপ্লোরেশন”-এর মাধ্যমে ভূষিত করা হয়েছে।

মূলত এই মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতির বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে সামগ্রিক অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে। গত বছর অগাস্টে চন্দ্রযান-৩ মিশনের সময়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ সম্পন্ন হয়। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল চাঁদের ওই দুর্গম অংশে সফলভাবে অবতরণের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল ভারত।

Chandrayaan-3 team honored with US award.

এমতাবস্থায়, হিউস্টনের ভারতের কনসাল জেনারেল, ডিসি মঞ্জুনাথ, কলোরাডোতে বার্ষিক স্পেস সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ISRO-র পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। এদিকে, স্পেস ফাউন্ডেশনের CEO হিদার প্রিংল গত জানুয়ারিতে পুরস্কার ঘোষণা করার সময় একটি বিবৃতিতে দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি বলেন, “মহাকাশে ভারতের নেতৃত্ব বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।”

আরও পড়ুন: মাওবাদীরা করতে চেয়েছিল ধ্বংস! ২১ বছর পর খুলল সেই রাম মন্দির, হচ্ছে পুজোর বিরাট আয়োজন

পাশাপাশি, তিনি এটাও জানান, “পুরো চন্দ্রযান-৩ টিমের অগ্রগামী কাজ আবার মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং তাদের চাঁদে অবতরণের ঐতিহাসিক বিষয়টি আমাদের সবার জন্য একটি মডেল। তাদেরকে অভিনন্দন এবং তারা পরবর্তীতে কি করবে তা দেখার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।” পাশাপাশি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্পেস ফাউন্ডেশন জানিয়েছে যে, চন্দ্রযান-৩ ISRO দ্বারা করা একটি উন্নত মিশন। যেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম মিশন। যা মহাকাশ অনুসন্ধানের দিগন্তকে প্রসারিত করেছে।

আরও পড়ুন: সমাজমাধ্যমে হতে হয় হেনস্থা! রিঙ্কুর ৫ ছক্কার পরে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেছিলেন যশের মা

জন এল “জ্যাক” সুইগার্ট জুনিয়র পুরস্কার: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, কোনো মহাকাশ সংস্থা বা কোম্পানি অথবা সংস্থার কনসোর্টিয়ামের দ্বারা মহাকাশ সংক্রান্ত অনুসন্ধান এবং আবিষ্কারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সফলতার বিষয়টিকে সামনে রেখে জন এল. “জ্যাক” সুইগার্ট জুনিয়র পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারটি মহাকাশচারী জন এল. “জ্যাক” সুইগার্ট জুনিয়রের নামে নামাঙ্কিত। যিনি অ্যাপোলো ১৩ চন্দ্র মিশনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর