বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan-4) মিশনের অনুমোদন করা হয়েছে। এই মিশনের অধীনে, ভারতীয় মহাকাশচারীদের চাঁদে অবতরণ করার পাশাপাশি তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগুলি বিকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। চন্দ্রযান-৪ মিশনের অধীনে, চাঁদের পাথর এবং মাটিও পৃথিবীতে আনা হবে। যাতে সেগুলি ভালোভাবে পরীক্ষা করা যায়।
চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan-4) মিশনের মাধ্যমে নয়া ইতিহাস গড়বে ভারত:
মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে, মন্ত্রিসভা ভেনাস অরবিটিং মিশন, গগনযান এবং চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan-4) মিশন সম্প্রসারণের অনুমোদন দিয়েছে। তিনি জানান যে, মন্ত্রিসভা ভারী ভার বহনে সক্ষম পরবর্তী প্রজন্মের লঞ্চ ভেহিক্যালকেও অনুমোদন দিয়েছে। যেটি ৩০ টন ওজনের পেলোডকে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করবে।
এদিকে, একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, প্রস্তাবিত চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan-4) মিশনটি ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতীয় মহাকাশচারীদের চাঁদে অবতরণ করার এবং তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য মূল প্রযুক্তি তৈরি করবে। সেখানে আরও বলা হয়েছে যে, এই মিশনের অধীনে, ডকিং/আনডকিং, ল্যান্ডিং, পৃথিবীতে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন এবং চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় মূল প্রযুক্তিগুলি তৈরি করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চন্দ্রযান-৪ মিশনের জন্য মোট ২,১০৪.৬ কোটি টাকার ফান্ড প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: IPL 2025-এর আগে একের পর এক চমক! দিল্লি ছাড়লেন রিকি পন্টিং, যোগ দেবেন কোন দলে?
বিবৃতি অনুযায়ী, চন্দ্রযান-৪ মিশনে (Chandrayaan-4) মহাকাশযানের ডেভেলপমেন্ট এবং উৎক্ষেপণের কাজ করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO। আশা করা হচ্ছে যে, এই মিশনটি ৩৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এই মিশনের আওতায় সব গুরুত্বপূর্ণ কৌশল ও প্রযুক্তি দেশীয়ভাবে গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেরিয়ার হবে শেষ? BCCI-কে খুশি করতে পারছেন না শ্রেয়স! কবে ফিরবেন ভারতের টেস্ট দলে?
জানিয়ে রাখি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কোবিন্দ কমিটির সুপারিশ অনুসারে “এক দেশ, এক নির্বাচন”-এর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই তথ্য জানিয়েছেন। “এক দেশ, এক নির্বাচন” নিয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির রিপোর্ট বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সামনে পেশ করা হয়। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার আগে মার্চ মাসে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। বৈষ্ণব বলেছেন যে, রিপোর্টটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে।