চন্দ্রযান ৪ নিয়ে বিরাট পরিকল্পনা ISRO-র! তুলে আনবে চাঁদের মাটি, বড় ঘোষণা সোমনাথের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দুদিন আগেই সফল হয়েছে চীনের চন্দ্র অভিযান (Chandra Abhiyan)। তারপরেই  চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অদেখা অঞ্চল থেকে মাটি ও পাথর নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে চ্যাঙ্গি–৬ মহাকাশযান। আর তারপরেই চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan-4) মিশন  নিয়ে বড় আপডেট দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)।  জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ মেরুর কাছে চন্দ্রযান-৩-র সফল অবতরণের পর এবার চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি ফিরিয়ে আনার জন্য যাবে চন্দ্রযান ৪।

জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে প্রস্তুতি প্রায় শেষের মুখে। এই বছরের শেষের দিকে একটি স্পেস ডকিং (স্প্যাডেক্স) পরীক্ষা হতে পারে বলে খবর। জানা যাচ্ছে চন্দ্রযান ৪ দুটি ধাপে উৎক্ষেপণ করা হবে। এই উৎক্ষেপণে দুটি মিনি স্যাটেলাইট মহাকাশে পৌঁছালে,তাদের দুটি ভিন্ন কক্ষপথে ইঞ্জেক্ট করা হবে। এর
মধ্যে প্রথম ক্ষেত্রে কাজে লাগবে এলভিএম-৩ আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে পিএসএলভি।

   

সূত্রের খবর  চন্দ্রযান-৪-এ পাঁচটি আলাদা মহাকাশযান থাকবে। আর প্রত্যেকটিই আলাদা কাজ করবে। আর আলাদা ভাবেই সেগুলি উৎক্ষেপণ করা হবে। জানা যাচ্ছে, চন্দ্রযান ৪ বেশ কিছু কাজ নিয়ে মহাকাশে যাবে। যার মধ্যে অন্যতম, চাঁদের মাটিতে নিরাপদ, সুরক্ষিত, ‘সফ্‌ট ল্যান্ডিং’ করে চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ করা এবং তা সংরক্ষণ করা, চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করা ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: ব্যাগে করে বাচ্চা চুরি? ওই মহিলা আসলে কে? পরিচয় সামনে আনল রেল পুলিশ, জেনে চমকে যাবেন

উল্লেখ্য বুধবার নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া স্পেস কংগ্রেসের তরফে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেছেন, ‘আমরা চন্দ্রযান-৪ এর কনফিগারেশন এবং কীভাবে চাঁদ থেকে নমুনা পৃথিবীতে আনা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছি। সব দিক পর্যালোচনা করে তবেই এই মিশন অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরা একাধিক লঞ্চিংয়ের কথা ভেবেছি এবং সেই মতোই প্রস্তাব রেখেছি, কারণ আমাদের হাতে যে সব রকেট আছে, তা একটি মিশনে যেতে এবং ফিরে আসতে যথেষ্ট সক্ষম নয়। তাই আমাদের স্পেস ডকিং বা স্প্যাডেক্স করতে হবে।’

ISRO 2

স্পেস ডকিং কি?

দু’টি পথক মহাকাশযানের একে অপরকে খুঁজে পাওয়া এবং একই কক্ষপথে স্টেশন হওয়াকে বলা হয় স্পেস ডকিং। জানা যায়, ১৯৬৬ সালে প্রথম, আমেরিকার জেমিনি প্রজেক্টে এই স্পেস ডকিং হয়েছিল। মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং এবং ডেভিড স্কট ছিলেন জেমিনি ৮ মহাকাশযানে। ইসরোর দাবি, ভবিষ্যতে মহাকাশ মিশনের জন্য এই ডকিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর