বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অর্ণব মৈত্র- 2019 সালের 5 ই আগস্ট কেন্দ্র সরকার এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয় কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহার করে। এই এক বছরের মধ্যে 370 ধারা তুলে নেওয়ার ফলে কাশ্মীরে হয়েছে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ। প্রায় 40% কমে গিয়েছে জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য এমনটাই দাবি বিজেপির।
বিজেপি কর্মীদের নেওয়া বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে উঠে আসছে যে, এই 370 ধারা তুলে নেওয়ার এক বছরের মধ্যে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, পর্যটন কেন্দ্র, রাস্তা, জল নিকাশি ব্যবস্থার কাজ। পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে পানীয় জল, বৈদ্যুতিক সংযোগ। কাশ্মীর মানেই ভারতবর্ষের কাছে একটা ভূস্বর্গ, এই ভূস্বর্গের বিভিন্ন রাস্তায় জমেছিল জঞ্জাল, ময়লার স্তুপ, সেগুলো আস্তে আস্তে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
কাশ্মীর এখন ভারতবর্ষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় কাশ্মীরে বসবাসকারী মুসলমান সম্প্রদায়ের মহিলারা তিন তালাককে সমর্থন করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসছে।ওই সমস্ত মহিলারা আগের থেকে এখন তারা অনেকটাই বেশি করে সমাজের নারীত্বের মর্যাদা পাচ্ছে, জানিয়ে চরম আনন্দের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে মহিলারা। রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাদ্যশস্য। বিভিন্ন ধরনের শিল্প গড়ে উঠছে এই কাশ্মীরে। শিল্প গড়ে ওঠার একদিকে যেমন কাশ্মীরে বাড়বে কর্মসংস্থান তেমনি ভারত সরকার অর্থনৈতিক দিকে মজবুত হবে।
কমানো হচ্ছে পর্যটকদের হোটেল খরচ, খাবারের খরচ। যাতে মধ্যবিত্তরা এই ভূস্বর্গে পৌঁছে আনন্দ উপভোগ করতে পারে। কাশ্মীরের আদি বাসিন্দারা ধীরে ধীরে তারা ঘরমুখী হচ্ছে, ফিরে পাচ্ছে তাদের হারানো জমি। গত এক বছরে অধিকাংশ জায়গায় কমে গেছে জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য। এমনটাই দাবি বিজেপির।
তবে এই দাবি অবশ্য মানতে নারাজ বিরোধীদল গুলো। তাদের দাবি কাশ্মীরে আদৌ কোনো উন্নয়ন হয়নি, শুধু হিন্দু মুসলিম নিয়ে সাম্প্রদায়িক খেলা হয়েছে, আর এই সাম্প্রদায়িক খেলায় মেতে বিজেপি ভোট ব্যাংক বাড়াতে চাইছে। মানুষ এসব ভাওতা বুঝে গিয়েছে।