বাংলা হান্ট ডেস্ক: অবশেষে আজ উপস্থিত সেই বহুপ্রতিক্ষিত দিন! গত এক বছর ধরে দেশজুড়ে চলা “আজাদী কা অমৃত মহোৎসব”-এর মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং কর্মসূচি ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে। এমনকি, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) শুরু করেছিলেন “Har Ghar Tiranga” কর্মসূচিও। আর এই সব উদ্যোগেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছেন দেশবাসী। যা আলাদা মাত্রা যোগ করেছে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) এই বিশেষ দিনটিকে।
মূলত, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত দেশের প্রতিটি কোণায় জাতীয় পতাকার উত্তোলন করছেন দেশের মানুষ। সেই রেশ বজায় রেখেই ভূস্বর্গেও প্রবল উৎসাহ এবং উদ্দীপনায় তেরঙ্গা ওড়ালেন একদল যুবক। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা স্বাভাবিকভাবেই জয় করে নিয়েছে সকলের মন। এমনিতেই, বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীনগরে তেরঙ্গা উত্তোলন করা বেশ চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। কিন্তু এবার কাশ্মীরের জনগণ গর্বের সাথে সন্ত্রাসবাদীদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার দিবসের বিশেষ দিনে, কিছু যুবক লাল চকে উপস্থিত হয়ে তেরঙ্গা উত্তোলন করেন। পাশাপাশি, তাঁরা “ভারত মাতা কি জয়” এবং “বন্দেমাতরম” স্লোগানও দেন।
এছাড়াও, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, এক ব্যক্তি নিজের শরীরকে তেরঙ্গার রঙে রাঙিয়ে প্রবল উৎসাহের সাথে হাতে পতাকা নিয়েছেন। পাশাপাশি, তাঁদের সম্মিলিতভাবে “বন্দেমাতরম” এবং “ভারত মাতা কি জয়” স্লোগানও দিতে দেখা যায়। মূলত, সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জানিয়ে রাখি যে, গত কয়েক বছর ধরে, লাল চকে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হচ্ছে। যা আগে বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার ছিল। এমনকি, কয়েকদিন আগে শ্রীনগরের লাল চক পর্যন্ত তেরঙ্গা যাত্রাও বের করা হয়। তখন তেরঙ্গায় ঢেকে যায় গোটা লাল চক।
#WATCH Chants of 'Vande Mataram' by a group of men waving the Tricolour at Srinagar's Lal Chowk pic.twitter.com/KgFSiXG4Ck
— ANI (@ANI) August 15, 2022
জানা গিয়েছে, ওই র্যালির নেতৃত্বে ছিলেন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য। র্যালিটি ঐতিহাসিক লাল চক থেকে শুরু হয়ে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত বের করা হয়। র্যালিটির পরে, তেজস্বী সূর্য টুইট করে জানান যে, “কয়েক বছর আগে পর্যন্ত, লাল চক দেশবিরোধী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী অনুভূতিতে পূর্ণ ছিল। এমনকি, যাঁরা তেরঙ্গা উত্তোলনের সাহস দেখাতেন তাঁদের মেরে ফেলার হুমকি দিত সন্ত্রাসবাদীরা। ১৯৯২ সালে, নরেন্দ্র মোদীজি এখানে গর্বের সাথে তেরঙ্গা উত্তোলন করেছিলেন। যার কারণে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা ৩০ বছর পরে আবার পতাকা উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে।”