বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে (Bangladesh) গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে কিছুতেই যেন শান্তি ফিরছে না সোনার বাংলায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর উঠে আসছে বাংলাদেশ থেকে।
ফের উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)
এই আবহেই ফের একবার ছাত্র আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশ জুড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রবিবার দফায় দফায় জড়িয়েছেন সংঘর্ষে। মাঝ রাত অবধি চলে অরাজকতা। এই ঘটনার পর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সোমবার থেকে ‘ঢাকা অবরোধের’ ঘোষণা করেন।
এমনকি, সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতিল করা হয়েছে সমস্ত ক্লাস। বাংলাদেশের (Bangladesh) একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের কলেজের সামনে পথ অবরোধ শুরু করবেন। ফের একবার ছাত্র সংঘর্ষে যে বাংলাদেশ উত্তাল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরোও পড়ুন : এবার বন্ধ হয়ে যাবে টোটো? কঠোর পদক্ষেপের পথে পরিবহণ দপ্তর
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশাল পুলিশবাহিনী (Police) মোতায়েন করা হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায়। চলছে নজরদারি। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে একাধিক জায়গায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান রবিবারের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আরোও পড়ুন : ‘সঞ্জয়ের ফাঁসি চাই না’! হাইকোর্টে জানিয়ে দিল নির্যাতিতার পরিবার! আরজি কর কাণ্ডে বড় খবর
রবিবার গভীর রাতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে দুঃখ প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু দাবি নিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা (Students) কথা বলতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষর সাথে। অভিযোগ ছাত্রদের সাথে উপাচার্য সেই সময় অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন।
তারপরই উপাচার্যর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরু হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) প্রাঙ্গণ থেকে কিছু ছাত্র বেরিয়ে এসে তাদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। সূত্রের খবর, সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।