বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামনে এলো ছত্তিশগড়ের বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার ছবি। যে ছবি কার্যতই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় জেলা প্রশাশনের অবহেলা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে। সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। তার সেই ছবিতেই উঠে এসেছে এক মর্মান্তিক দৃশ্য।
ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের কোরিয়া জেলার বৈকুন্ঠপুর এলাকায়৷ জানা যাচ্ছে অসুস্থ এক ব্যক্তিকে নিয়ে বৈকুন্ঠপুর জেলা হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু চিকিৎসা ব্যবস্থার চূড়ান্ত অব্যবস্থার কারণে কোনও চিকিৎসকই সেই সময় উপস্থিত ছিলেন না জেলা হাসপাতালে। এহেন পরিস্থিতি দেখে নিজেদের কাছের মানুষের জীবন বাঁচাতে রোগীকে একটি স্ট্রেচারে তুলে সেই অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে চিকিৎসকের বাড়ির দিকে ছুটতে থাকেন আত্মীয় স্বজনরা। সেই সময়েই কোনও এক ব্যক্তি পুরো ঘটনাটির একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন যা ভাইরাল হয় মুহুর্তের মধ্যেই।
এহেন ঘটনা সামনে আসতেই কার্যতই শোরগোল পড়ে যায় দেশ জুড়ে। রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবাকে ধিক্কার জানিয়ে প্রশাসনের ভূমিকাকে প্রশ্ন করতে থাকেন মানুষ। এরপরই ঘটনার সাফাই দিতে নামে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন কে এল ধ্রুব বলেন, ‘ওই রোগীর আত্মীয় স্বজনরা একজন বিখ্যাত ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে পরামর্শ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি না থাকায় তাঁরা নিজেরাই স্ট্রেচারে করে নিয়ে যান রোগীকে।’ তিনি আরও জানান, ‘ওই চিকিৎসক অবশ্য এই হাসপাতালেই আবার ফেরত পাঠান রোগীকে। এখানেই চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর। ওপিডি বন্ধ থাকায় তৎক্ষনাৎ বিষয়টি আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি।’
উল্লেখ্য, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে এলো সে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ভয়াবহ ছবি। সম্প্রতি ছত্তিশগড় সরকার ঘোষণা করেছে প্রতি মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার করে বয়স্কদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে সরকারি হাসপাতালগুলিতে। সেই ঘোষণার পর এই জেলা হাসপাতালে খোলা হয় একটি ওএসটি সেন্টারও। কিন্তু অভিযোগ, সেই ওএসটি খোলার পর ছয় মাস পেরোলেও এসে পৌঁছায়নি ওষুধ। নেই চিকিৎসকও। সব মিলিয়ে এহেন ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে নেটিজেন সকলেই।