বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যজুড়ে দাপিয়ে বাড়ছে বেআইনি নির্মাণ। ছাড় পাচ্ছে না বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র হল দার্জিলিং-ও (Darjeeling)? শৈলশহরে ম্যাল রোডের আশেপাশে যাতে অবৈধভাবে কোনও নির্মাণ গড়ে না ওঠে তা দেখার জন্য দার্জিলিং পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
ঠিক কী বলল হাইকোর্ট? Calcutta High Court
বেআইনি নির্মাণের জেরে যাতে ম্যাল রোড স্বাভাবিক সৌন্দর্য না হারায় সেই বিষয়ে নজর রাখার জন্য দার্জিলিং পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় শুক্রবার এই নির্দেশই দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।
বিচারপতির নির্দেশ, ওই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দার্জিলিং পুরসভাকে আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ থাকবে এখন সেখানে ঠিক কী পরিস্থিতি তারও। একই সাথে এই মামলায় জিটিএ’কেও নোটিশ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বেআইনি নির্মাণের রমরমা রাজ্যজুড়ে। বিগত কিছু সময় কলকাতা থেকে জেলায় জেলায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। আদালতও বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় কড়া হাতে নির্দেশ দিয়েছে বারেবারে। দার্জিলিং জেলায় জনপ্রিয় ম্যাল রোডে বা আশেপাশে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা।
মামলাকারীর দাবি ছিল, এই বেআইনি নির্মাণের জেরে হকারদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দার্জিলিং পুরসভা পুনর্বাসন করলে আপত্তি নেই। কিন্তু জিটিএ কোনও নির্মাণ করতে পারে না। দার্জিলিং পুরসভার অনুমোদন দরকার। এদিকে দার্জিলিং পুরসভার তরফে আদালতে জানানো হয়, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য ম্যাল রোডের যে অংশ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে তাতে দার্জিলিং পুরসভাই নির্মাণ করছে। হকারদের ম্যাল রোডে আর রাখা হবে না।
ম্যাল এবং সংলগ্ন এলাকায় কোনো বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। বলেন, এখন যে কাজ হচ্ছে তা করার জন্য দার্জিলিং পুরসভার কাছে বাড়তি অর্থ না থাকায় জিটিএ সেই অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে। দার্জিলিং পুরসভা এবং জিটিএ যৌথভাবে কাজ করছে এখানে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ নামবে তাপমাত্রা! গরমের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে ফের শীতের কামড়? আবহাওয়ার খবর
সব শুনে দার্জিলিং পুরসভাকে হলফনামা আকারে সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য জমার নির্দেশ। পাশাপাশি জিটিএ’র বক্তব্য শোনার জন্য তাদেরও নোটিশ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।