আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর চেকবই, পাসবুক বাজেয়াপ্ত করল ইডি! তুমুল শোরগোল রাজ্য জুড়ে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও ইডির কোপে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন(Hemanta Soren)। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসন নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলে রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি। কোনও ভাবে সেই সংকট সামাল দেন হেমন্ত। এবার ইডির র‍্যাডারে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী। বেআইনি খনি খাদান ও আর্থিক তছরুপের মামলায় এবার মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাঙ্কের পাসবই ও চেকবই তদন্তদের জন্য বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় সংস্থা।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী তথা ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার নেতা পঙ্কজ মিশ্রের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এই পাসবই এবং চেকবুক বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে বেআইনি খদি খাদান ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক তছরুপের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে পঙ্কজ মিশ্রের নাম। গত ১৯ জুলাই বেআইনি আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই মুহুর্তে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন ওই নেতা। পঙ্কজ মিশ্রের পাশাপাশি তাঁর দুই সহকারী বাচ্চু যাদব ও প্রেম প্রকাশের নামও উল্লেখ রয়েছে মামলায়। গত ৪ ও ৫ অগস্ট ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

ইডি সূত্রে খবর, গত মার্চ মাসে ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জ জেলায় পঙ্কজ মিশ্র ও তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু করে ইডি। গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রসিকিউশন কমপ্লেন্ট আদালতে জমা দেয় ইডি। সেখানে জেএমএমের প্রাক্তন ট্রেজারারের বয়ানও উল্লেখ করা হয়। রবি কেজরীওয়াল নামের ওই প্রাক্তন কোষাধক্ষ্য জানান, সাওতাঁল পরগণার পাথর ও বালি খাদান থেকে আদায় করা টাকা যেন ব্যবসায়ী প্রেম প্রকাশের হাতে তুলে দেওয়া হয়, পঙ্কজ মিশ্রকে এই নির্দেশ দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনই। গত অগস্ট মাসে পঙ্কজ মিশ্রের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেই সময় তাঁর বাড়ির আলমারি থেকে ঝাড়খণ্ড পুলিশের দুটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে নিজের নামে খনির লিজ নেওয়ার মামলা চলছে। এই মামলার কারণেই সম্প্রতি তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্বই চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। বিজেপির অভিযোগের উপর ভিত্তি করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের রাজ্যপাল রমেশ বইসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদ খারিজ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কোনও রকমে মুখ্যমন্ত্রী পদ বাঁচিয়ে রাখে হেমন্ত সোরেন। এবার নতুন সংকট তিনি কিভাবে কাটয়ে ওঠেন সেটিই এখন দেখার।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর