বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন বদলেছে শুধু ক্যালেন্ডারেই। তাই আজও আমাদের দেশের মেয়েদের নিরাপত্তা একেবারে তলানিতে। কলকাতা-দিল্লি কিংবা মুম্বাই-চেন্নাই দেশ জুড়ে লাগাতার বেড়েই চলেছে ধর্ষণ (Rape) কিংবা নারী নির্যাতনের ঘটনা। মাত্র কয়েক মাসের দুধের শিশু থেকে শুরু করে এই নরপিশাচদের যৌন লালসার শিকার হচ্ছেন মানসিক প্রতিবন্ধীরাও।
যৌন হেনস্থার (Rape) শিকার মানসিক প্রতিবন্ধী ছাত্রী
সম্প্রতি তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে ঘটে গিয়েছে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা। মেয়ের সাথে দিনের পর দিন ঘটে চলা অন্যায়ের বিরুদ্ধে গত মাসের শেষেই পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন ওই নির্যাতিতার বাবা। অভিযোগে তিনি জানান বিগত বেশ কিছু দিন ধরে কলেজের মধ্যেই মানসিক প্রতিবন্ধী ওই যুবতীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করছিল তাঁরই কিছু সহপাঠী।
শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীকে একাধিক বার যৌন হেনস্থা (Rape) করারও অভিযোগ উঠেছে। জানলে অবাক হবেন, ওই কুকর্মের সাথে যুক্ত একজন ছাত্রীও। প্রাথমিক ভাবে কমিউনিটি সার্ভিস রেজিস্টারে (সিএসআর) লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শুরু হয় তদন্ত। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর যৌন হেনস্থার (Rape) অভিযোগে গত ৭ ডিসেম্বর নির্যাতিতা ছাত্রীর দুই সহপাঠীকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিরুভাল্লুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত দুই ছাত্রের নাম নরেশ এবং সুরেশ। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৯ ও ২০। তবে নির্যাতিতা ছাত্রী মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় শুরুতে তাঁর বয়ান সংগ্রহ করতেও বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: ‘১ সপ্তাহের মধ্যে…’! কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল ‘ক্ষুব্ধ’ হাইকোর্ট
পরবর্তীতে তদন্তের স্বার্থে চারটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়। অন্যদিকে এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ডিএমকে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। এই ঘটনায় তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই যৌন হেনস্থার ঘটনায় প্রথমেই নাকি নির্যাতিতার বাবাকে অভিযোগ দায়ের করতে বাধা দিয়েছিল পুলিশ।
এমনকি অভিযোগ পরিবর্তন করার জন্যও তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সিএসআর-এর অধীনেই এই অভিযোগ জমা পড়ে। একই সুর এডিএমকে-র-ও। তাদের তরফেও দাবি করা হয়েছে বিশেষ ভাবে সক্ষম এক জন ছাত্রীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে গোটা ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের নীরবতা নিয়েও সরব হয়েছেন বিরোধীরা।