বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রবিবার ছুটির দিন। তাই রবিবার দুপুরে কবজি ডুবিয়ে মাংস ভাত খেতে কেই না পছন্দ করেন। মুরগির দাম আগুন ছোঁয়া থাকলেও দোকানে কিন্তু কখনই ক্রেতার অভাব হয় না। বর্তমানে এখন মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে জলের দরে। কিন্তু সকাল সকাল দোকান খুলে বলসেও, দোকানে কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই। করোনা ভাইরাসের জেরে প্রভাবিত হয়েছে সাধারণ মানুষের রান্নাঘর।
গরম কালে বার্ড ফ্লু রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক মুরগি মারা যায়। যার ফলে মুরগির দাম কমে গেলেও সেই সময় রোগের ভয়ে মানুষ মাংস একটু কমই কেনেন। তবে এবার গরম পড়ার আগেই কমে গেল মুরগির চাহিদা। একে তো বার্ড ফ্লু এবং অপর দিকে করোনা ভাইরাস (Corona Virus)- এই দুইয়ের আতঙ্কে তাই রবিবারের বাজারেও মাছি মারতে হচ্ছে মুরগি বিক্রেতাদের। মুরগির দোকানে ক্রেতাদের ফিরিয়ে আনতে আবার অনেক দোকানদার মুরগির সঙ্গে পেয়াজের যুগলবন্দী করে অফার দিয়েছেন। ১ কেজি মুরগি কিনলে পাওয়া যাবে ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ। কিছু মানুষ একটু লাভের আশায় মাংস কিনলেও, তাঁর থেকে না কেনার সংখ্যাটাই বেশি। ফলে প্রভূত ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে মাংস বিক্রেতারা।
এরই মাঝে কেরল, কর্নাটক ও তামিলনাড়ুতে মুরগিতে বার্ড ফ্লু দেখা দিয়েছে। তবে এই সক্রামণের পরবর্তী পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকলেও, ২০১৬ সালের পর এই প্রথম কেরলে বার্ড ফ্লু হওয়ায় আতঙ্কিত কেরালাবাসী। অপরদিকে ওড়িশাতেও ব্যাপক হারে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ায় পশ্চিমবঙ্গেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৮ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০০। আবার মুরগিকে করোনা ভাইরাসের বাহক হিসাবে মনে করা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে রবিবারের মেনু থেকে বাদ পড়ছে চিকেন। খাদ্যরসিক থেকে বিক্রেতা সকলেরই মাথায় হাত।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা