বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুল্যবৃদ্ধির বাজারে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এতে মধ্যবিত্তের উনুনে আগুন জ্বলুক বা না জ্বলুক, পকেট দাউদাউ করে জ্বলছে ঠিকই। জ্বালানির দাম বাড়া নিয়ে মানুষের ভোগান্তির চিত্র তো সর্বদাই ধরা পড়ছে। পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্যের দামের গ্রাফও কিন্তু উপর দিকেই।
এরই মধ্যে আবারও ডিমের দাম বাড়িয়ে (Egg Price Increase) দিল রাজ্য প্রাণিসম্পদ দফতরের আওতায় থাকা হরিণঘাটা মিট। যদিও কয়েকদিন আগে পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বাড়িয়েছিল ন্যাশনাল এগ কো-অর্ডিনেশন কমিটি। ফলে খুচরো বাজারেও ঊর্ধমুখী হয়েছে ডিমের দর।
এতদিন অবধি তাই বাংলার মানুষ হরিণঘাটা মিটকে সম্বল মনে করতেন। কারণ বাজারের তুলনায় এই সরকারি প্রতিষ্ঠানে একটু কমে নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যেত। তবে তারাও হঠাতই ডিমের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মধ্যবিত্তের কপালে।
ইতিমধ্যেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছে বঙ্গে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মরসুমের শীতলতম দিন আজ। থার্মোমিটারের পারদ নেমে গিয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে। এমন শীতে অনেকেই মনটা ডিম ডিম করে। তাই এই সময়ে এ ভাবে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি চাপ ফেলে মধ্যবিত্তের পকেটে।
২০২২ সালের অক্টোবর অবধি হরিণঘাটায় পোলট্রির ডিমের দাম ছিল ৯ টাকা জোড়া। এরপর ১ নভেম্বর থেকে তা বেড়ে ১০ টাকা জোড়া হয়। এ বার দাম আরও বেড়ে হল ১১ টাকা ২০ পয়সা জোড়া। পিস প্রতি ডিমের দাম প্রায় ৬ টাকা। এ প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন জানিয়েছে, পশুখাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খোলা বাজারে পোলট্রির দিম বিকোচ্ছে ১৪ টাকা জোড়ায়। এ রাজ্যে হরিণঘাটা ব্র্যান্ডের মোট সাড়ে ৬০০ আউটলেট আছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ফার্ম থেকেই সেখানে ডিম আসে। এখন সেখানে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ডিমের উৎপাদন হয়। এতদিন চাহিদা থাকলেও ডিমের দাম বাড়ায়নি রাজ্য সরকার।
কিন্তু উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এখানকার কর্তারা নিরুপায় বলে জানিয়েছেন। তাই বাড়ানো হচ্ছে ডিমের দাম। যদিও খোলা বাজার থেকে ডিমের দাম কম রাখার চেষ্টা করছে হরিণঘাটা। এই দাম বৃদ্ধি যদিও স্থায়ী নয় বলে জানানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের পর পশুখাদ্যের দাম পর্যালোচনা করা হবে। তখন তার দাম কমলে ডিমের দামও কমানো হবে।