শীতের আমেজে মধ্যবিত্তের পকেটে আগুন জ্বালিয়ে ফের বাড়ল ডিমের দাম, রইল আজকের প্রাইস

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরেই সে ভাবে ছিল না শীতের আমেজ। কিন্তু নতুন বছরের তৃতীয় দিনে ভালই শীত পড়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। এই শীতের আমেজে বরাবরই তুঙ্গে থাকে ডিমের চাহিদা। সেই সঙ্গে দামও ওঠানামা করে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে পর পর দু’বার নেমেছিল ডিমের দাম। সেই সময়ে মাসের সর্বনিম্ন দরে পৌঁছেছিল দাম। কিন্তু একটু শীত বাড়তেই ফের কিছুটা বেড়ে গিয়েছে ডিমের দর (Egg Price Increase)।

প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর আগে থেকেই বাড়তে শুরু করে ডিমের দাম। এরপর ডিসেম্বরে মুরগির ডিমের দাম রেকর্ড বেড়ে যায়। তারপর ফের ২৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দু’দফায় বেশ কিছুটা নেমে আসে। কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন ক্রেতারা। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে ফের অগ্নিমূল্য ডিম। ন্যাশনাল এগ কোঅর্ডিনেশন কমিটির প্রস্তাবিত দাম অনুযায়ী, এ রাজ্যে এক ধাক্কায় ৭০ পয়সা বেড়ে গিয়েছে ডিমের দাম।

egg price increase

এনইসিসি-র প্রস্তাবিত হার অনুসারে, ১০০টি ডিমের পাইকারি দর ৬০৮ টাকা। অর্থাৎ, এক একটি ডিমের দাম ৬ টাকা ০৮ পয়সা। এক জোড়া ডিম বিকোচ্ছে ১২ টাকা ১৬ পয়সায়। রাজ্যে এক ডজন ডিমের দাম ৭২ টাকা ৯৬ পয়সা। শেষবার ডিসেম্বরে দাম কমেছিল। তখন ডিমের পাইকারি দর এক ডজনে হয় ৬৯ টাকা। তবে নতুন বছর শুরু হতেই প্রায় চার টাকা বেড়ে গিয়েছে ডিমের দর। 

খুচরো বাজারে এখন এক পিস মুরগির ডিমের দাম ৭ টাকা। কোথাও আবার সাড়ে ৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ডিম। খুচরো বাজারে এক জোড়া ডিমের দাম এখন ১৪-১৫ টাকা। সুপার মার্কেটে এটি বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা জোড়ায়। এতে স্বাভাবিক ভাবেই নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। আগামী দিনে এই দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। 

egg price increase

জানা গিয়েছে, দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় ডিমের দাম প্রায় ১ থেকে আড়াই টাকা বেড়েছে। সেখানে একটি ডিম খুচরো বাজারে ৮ থেকে সাড়ে ৮ টাকায় বিকোচ্ছে। নয়ডাতেও একটি ডিম কিনতে হলে দিতে হচ্ছে ৮ টাকারও বেশি। প্রসঙ্গত, দেশে সব থেকে বেশি ডিম উৎপাদন হয় পাঞ্জাবের লুধিয়ানায়। 

সেখানে প্রতি ১০০ পিস ৫৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে। এখান থেকেই দিল্লির আশেপাশের অঞ্চলে সরবরাহ করা হয় ডিম। গুজরাতের সুরতেও প্রতি ১০০ পিস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়। লখনউতে ১০০টি ডিমের দাম ৬০০ টাকা। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর