বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুদ্রাস্ফীতির চাপে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত জিনিসপত্রেরই দাম বাড়ছে। আলু, মাছ, ফল, শাক-সবজি— সবেরই দাম ঊর্ধ্বমুখী! এরই মধ্যে নববর্ষের আগে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে কমল মুরগির মাংসের দাম। রাজ্যে পোল্ট্রি মুরগির দাম এক লাফে প্রায় ১০০ টাকা কমতেই বঙ্গবাসীর মুখে যে হাসি ফুটেছে একথা বলাই বাহুল্য। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, চিকেনের (Chicken) দাম কমার (Price Drop) কারণ কী ?
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বার্ড ফ্লু’র জেরেই রাজ্যে পোল্ট্রি মুরগির দাম হঠাৎ করেই কমে গিয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও প্ররোক্ষ যোগ রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, ঝাড়খণ্ডে ব্লাড ফ্লু’র প্রকোপ বাড়তেই অসম সরকার পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে পোল্টি মুরগি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর ফলে বাংলায় পোল্ট্রি মুরগি বিক্রতাদের মাথা হাত পড়েছে।
মুরগি সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাংলার ব্যবসায়ীরা চরম বিপদের মুখে পড়ছেন। ফলে, একপ্রকার বাধ্য হয়েই তারা রাজ্যের বাজারেই বেচে দিচ্ছেন কম দামে মুরগি। অসমে সীমান্ত বন্ধের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উত্তরবঙ্গের মুরগি ব্যবসায়ীরা। শুধু অসম নয়, সে রাজ্যের পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে মুরগি সরবরাহ করে বাংলা। তা না হওয়া শঙ্কার মুখে বাংলার পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা।
এখন পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকারও বেশি খবরচ হয়েছে। বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের সচিব, মদনমোহন মাইতি এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘বেআইনি’ বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,’এই ধরনের ক্ষেত্রে ভারত সরকারে স্ট্যাডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) অনুযায়ী ১০ দিনের বেশি সীমান্ত বন্ধ রাখা যায় না। যে ভাবে অসম সরকার ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে তা সম্পর্ণ বেআইনি।’
প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের মুখ্য সচিব বিবেক কুমার অসমের পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগের প্রধান সচিবকে পুর্নবিবেচনার জন্য চিঠিও দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এখনও অসম সরকারের থেকে কোনও উত্তর আসেনি। তবে মুরগির দাম ১০০টাকার কাছাকাছি কমে যাওয়ায় ক্রেতারা খুশী হলেও তাদের মনের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। তবে মাংসের দাম এক লাফে এতটা কমে যে আশাতীত তা বলাই বাহুল্য।