বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই চরম আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। এমতাবস্থায়, সেখানে সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে চিফ জাস্টিস উমর আতা বন্দিয়াল শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) নিশানায় রয়েছেন। এদিকে, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে চিফ জাস্টিসের একটি ছবি। ওই ছবিতে তাঁকে যে জুতোটি পরে থাকতে দেখা গিয়েছে সেই প্রসঙ্গে দাবি করা হচ্ছে যে, সেটির দাম ২,৭৯,২২৯ পাকিস্তানি রুপি।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান ডেইলি নামে একটি নিউজ পোর্টাল টুইট করেছে, “পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালকে Gucci-র জর্ডান হর্সবিট লোফার পরে থাকতে দেখা গেছে। যার দাম প্রায় ২,৭৯,২২৯ পাকিস্তানি রুপি।” তবে, ওই নিউজ পোর্টালের এহেন দাবি আলাদাভাবে যাচাই করা হয়নি এবং এই ছবিটি কবে তোলা হয়েছিল তাও জানা যায়নি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন পাকিস্তান: উল্লেখ্য যে, এই ছবিটি এমন সময়ে ভাইরাল হয়েছে যখন পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে কঠিন পর্যায়ের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমশ বাড়ছে। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমতাবস্থায়, পাকিস্তানের একমাত্র ভরসা এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) ১.১ বিলিয়ন ডলারের ফান্ডের ওপর টিকে রয়েছে। এই ফান্ডিং ২০১৯ সালে স্বাক্ষরিত ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট চুক্তির অংশ। যদিও পাকিস্তানের পক্ষে এই ফান্ড পাওয়া এত সহজ নয়।
এদিকে, গত রবিবার সেদেশে পেট্রোলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ১০ টাকা। অর্থমন্ত্রী ইশাক দার গভীর রাতে এই বৃদ্ধির ঘোষণা করে জানান যে, ডিজেল এবং হালকা ডিজেল তেলের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেগুলির দাম হবে যথাক্রমে ২৯৩ টাকা এবং ১৭৪.৬৮ টাকা প্রতি লিটার।
Chief Justice of Pakistan Umar Ata Bandial purportedly spotted wearing Jordaan Horsebit Loafers by Gucci that cost approximately 279,229 PKR. pic.twitter.com/ngYBwa5MKs
— The Pakistan Daily (@ThePakDaily) April 16, 2023
সরকারের নিশানায় চিফ জাস্টিস: উল্লেখ্য যে, বর্তমানে শাহবাজ শরিফ সরকারের নিশানায় রয়েছেন চিফ জাস্টিস উমর আতা বন্দিয়াল। সরকারের অভিযোগ, তিনি তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে, চিফ জাস্টিস বান্দিয়ালের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ১৪ মে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছিল এবং নির্বাচনের নতুন তারিখ ১০ এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে ৮ অক্টোবর করার প্রসঙ্গে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে রদ করে দেওয়া হয়। এমতাবস্থায়, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে শাহবাজ শরিফ সরকার। পাশাপাশি, চিফ জাস্টিসের ক্ষমতা হ্রাসের বিলও সংসদ থেকে পাস হয়েছে।