বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মারণ ভাইরাস করোনা যেন দিনদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কিন্তু ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হওয়ার কারণেই সংক্রমণ বৃদ্ধি, এমনটাই মনে করছিলেন প্রায় সকলেই। এই পরিস্থিতিতে সোমবার কার্যত তা স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথাও ঘোষণা করলেন. তিনি।পাশাপাশি আজ থেকে যে ‘আনলক ফেজ ১’ চালু হয়েছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে লকডাউন শিথিল করে, তাও চালু থাকবে। কিন্তু অবাধ চলাচলে এখনও নিষেধাজ্ঞা রয়ে গেল, রয়ে গেল আরও একগুচ্ছ বিধিনিষেধ।
গত সপ্তাহের শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন চলবে। কিন্তু সব বন্ধ থাকবে না। বরং এ বার ধাপে ধাপে তালা খুলবে। যাকে বলা হয়েছে, ‘আনলক ফেজ ১’। প্রথম ধাপে সেই তালা খোলার পর্বে ৮ জুন থেকে সমস্ত রেস্তোরাঁ, শপিংমল, ধর্মস্থান খোলা যাবে বলে জানানো হয়েছিল। সে মতোই আজ থেকে এ রাজ্যেও খুলে গেছে অনেক শপিং মল ও রেস্তরাঁ। তবে, লকডাউন এখনও কড়া ভাবে মানতে হবে কিছু ক্ষেত্রে। যেমন আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা, সিনেমা হল, মেট্রো রেল, জিমনাশিয়াম, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার, বার, অডিটোরিয়াম বন্ধ রাখতে হবে। কোনও বড় জমায়েতও করা যাবে না। এদিন মমতা ব্যানার্জী সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান এবং বিয়েবাড়িতে সর্বোচ্চ ২৫ জন পর্যন্ত জমায়েত করা যাবে।
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছিল, কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে জরুরি পরিষেবা ছাড়া আর কিছু খোলা থাকবে না। কন্টেনমেন্ট জোন কোনগুলি, তার পরিধি কতটা, তা রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে পরিষ্কার ভাবে চিহ্নিত করতে হবে। সেখানে কঠোরভাবে লকডাউন মানতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীও এ কথাই আজ নিশ্চিত করেন। রাজ্যের কন্টেনমেন্ট জ়োনগুলিতে সবরকম কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এদিন মনে করিয়ে দেন, আগামী ১০ জুন পর্যন্ত ভিন্ রাজ্য থেকে আরও অনেক ট্রেন আসবে। সব মিলিয়ে ১১ লক্ষেরও বেশি লোক ঢুকে যাবে বাইরে থেকে। ফলে সতর্কতা বজায় রাখতেই হবে।