বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনলাইন থেকে অফলাইন, চারিদিকেই এখন ঠকবাজদের রমরমা। ধরুন, আপনি একটি রাস্তার দোকান থেকে সস্তায় একটি সুন্দর দেখতে জামা পছন্দ করে কিনে নিলেন। কিন্তু বাড়িতে এসে সেই জামার প্যাকেট খুলে দেখবেন, আপনি যেই জামাটি পছন্দ করেছিলেন, সেটি তো দেয়ই নি, উপরন্তু এমন একটি জামা দিয়ে দিয়েছে, সেটিতে হাজারটি ফুটো।
এরকম অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রেও হয়। আপনি মোবাইল অর্ডার দিলে আপনার কাছে মোবাইলে বদলে চলে আসে সাবান অথবা ইটের টুকরো। এরকম ভাবে অনেকেই অর্ডার দিয়ে ঠকেছেন। সাধারণ মানুষ না হয় মেনে নিলাম। কিন্তু খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে কী এটা হওয়া সম্ভব? অন্তত আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সেটাই দাবি করলেন।
এদিন নবান্নের সভাঘর থেকে একটি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজের সঙ্গে হয়ে যাওয়া জালিয়াতির কথা তুলে ধরেন। বুদব্বার নবান্নে শিল্পপতিদের নিয়ে বৈঠকের দিন নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গতকাল একজনকে একটি জিনিস আনতে শপিং মলে পাঠিয়েছিলাম। আমি অর্ডার দিয়েছি একটা কাপে, আর ঢুকিয়ে দিয়েছে অন্য কাপে! এরকম প্রায়শই হচ্ছে। ধরো আমি ৫০টা আম অর্ডার দিলাম। তাঁর মধ্যে ১০টা পচা আম দিয়ে দিচ্ছে।”
মুখ্যমন্ত্রী জালিয়াতির পর ভেজাল নিয়েও মুখ খোলেন। তিনি বলেন, আমার কাছে চিকিৎসকরা অভিযোগ করে বলেছেন যে, বাজারে অনেক ভেজাল ওষুধ চলছে। আর সেগুলো বোঝা খুবই মুশকিল। তিনি এই বিষয়ে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী শশী পাঁজাকে কঠোর নজরদারি করার নির্দেশ দেন।