বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ৫ মার্চ মালদায় (Malda) আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকে। ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে করা হবে এই বিয়ের ব্যবস্থা। বৈঠক শেষে ভুবনেশ্বর (Bhubaneswar) থেকে ফিরে মালদায় এই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিবাহযোগ্যা মেয়েদেরকে বিয়ের দরুণ ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। যাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না, সেই সকল মেয়েদের ১৮ বছর হয়ে গেলে বিয়ের জন্য এককালীন ২৫০০০ টাকা দেওয়া হয়। আদিবাসীদের মধ্যে এই ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের বিষয়ে ভালোভাবে জানানোর এই গণবিবাহের আয়োজন করা হয় বলে দাবী জানায় তৃণমূল (TMC) বাহিনী। তাই আগামী ৫ মার্চ গণবিবাহে ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত ২০০ আদিবাসী মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি পুরাতন মালদহে (Malda) গণবিবাহ ঘিরে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় তৃণমূল শিবির। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে হিন্দু রীতি মেনে আটমাইলে আদিবাসী যুবক-যুবতীদের গণবিবাহের ব্যবস্থা করা হয়। এই খবর পেয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ঝাড়খন্ড দিশম পার্টি। এরপর দুইপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেলের বৃষ্টি শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পুরাতন মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বিশাল পুলিসবাহিনী নিয়ে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। তাঁরা অভিযোগ করে আদিবাসীদেরকে ১২ হাজার টাকা দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিরোধীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ভিএইচপি জানায়, আদিবাসীরা আমাদের সমাজেরই অংশ। আদিবাসীদের ভুল বোঝাচ্ছে। যারা বিয়ে দিতে পারছিল না, তারাই এই বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিল।
বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” বিজেপির সদস্যরা আদিবাসী মেয়েদের ধর্মান্তরণ করে বিয়ে দেয় এবং সেটা আমরা আটকাই। তারপর পুলিস ওদের রীতি মেনে বিয়ে দেয়। দুস্ত মেয়েদের বিয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা রূপশ্রী প্রকল্প তো আছেই।