বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় থেকে কাজ করার লাভ কি তা রীতিমতো অঙ্ক কষে বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়গপুর স্টেডিয়ামে উৎকর্ষ বাংলার মঞ্চ থেকে তিনি বাংলার চাকরিপ্রার্থীদের পরোক্ষভাবে বিদেশে চাকরি করতে যাওয়ার মন্দ দিকটি তুলে ধরলেন। তার কথায় তিনি যদি আমেরিকাতে তিন লাখ টাকার বেতনেরও চাকরি পান তাও তিনি যাবেন না। আজ খড়গপুর স্টেডিয়ামে উৎকর্ষ বাংলায় প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণে কিছু কৃতি পড়ুয়ার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি কিছু তপশিলির মেয়ের দায়িত্ব নিয়ে তাদের মানুষ করি। তাদের পড়াশোনা করাই। পড়াশোনা শেষ হলে তাদের বিয়ে দিই। আজ থেকে কুড়ি বাইশ বছর আগে যখন আমি রেলমন্ত্রী ছিলাম তখন এক তপশিলি মেয়েকে আমার খরচায় পড়াশোনা করাতাম। পড়াশোনা শেষ করার পর সে এই রাজ্যে একটি চাকরি পায়। এরপর একদিন শুনি মেয়েটি চাকরি নিয়ে আমেরিকায় চলে গেছে। সেখানে তার তিন লাখ টাকা বেতন।”
এই কথার সূত্র ধরে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে তিনিও যদি আমেরিকায় তিন লাখ টাকা বেতনে চাকরি পান তাহলেও বাংলা ছেড়ে যাবেন না। যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন আমেরিকায় স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং খুব হাই। ওখানে যদি তিন লাখ টাকা বেতন হয় তাহলে দু লাখ টাকা খেতে আর গাড়ি ভাড়া দিতে চলে যাবে। কিন্তু বাংলায় থেকে যদি ১০ হাজার টাকা বেতনের কেউ চাকরি করে তাহলে সে ৫ হাজার টাকা জমাতে পারবে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি পশ্চিমবঙ্গে রেশন ফ্রি, স্বাস্থ্য পরিষেবা ফ্রি। বাড়িতে ৫ হাজার টাকার সংসার খরচ দিলে বাকি ৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমাতে পারবেন। এই যুক্তি দিয়ে তিনি পরোক্ষভাবে চাকরিপ্রার্থীদের রাজ্যের বাইরে না গিয়ে এখানে থেকেই চাকরি করার বার্তা দিলেন। এর সাথে সাথে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সভামঞ্চ থেকে কচুরিপানার ব্যাগ তৈরির পরামর্শও দেন।এছাড়াও তিনি বলেন তালপাতার মতো দেখতে এক ধরনের পাতা আছে। সেই পাতায় কেউ কাঠি গুঁজে ঠোঙা তৈরির ব্যবসা করেন তাহলেও কোটিপতি হতে পারবেন।