বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য জুড়ে একের পর এক নাবালিকা ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসছে প্রতিদিন। এহেন সব ঘটনার জেরে কার্যতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে। এই ইস্যুতে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সামনে এলো আরও এক শিশু নির্যাতনের ঘটনা। হাঁসখালির পর এবার নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর সংলগ্ন কোতয়ালি থানা এলাকায় উঠল এক ৫ বছরের শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাজু হালদার নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, গত ১৩ এপ্রিল শিশুটির সঙ্গে অশালীন আচরণ করে ওই ব্যক্তি। সেখানেই শেষ নয়, বাড়িতে যাতে সে না জানায় তার জন্যও হুমকিও দেওয়া হয় শিশুটিকে৷ ফলে ভয়ে এতদিন মুখ বন্ধ করে ছিল ওই শিশুকন্যা। বাবা মাকেও সেভাবে কিছুই জানায়নি সে। কিন্তু সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পারেন নির্যাতিতা শিশুটির মা। তিনি সবকিছু জানান তাঁর স্বামীকে। বিষয়টি জেনে কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির বাবা।
এই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত রাজু হালদারকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পেশায় একটি সরকারি দপ্তরের অস্থায়ী কর্মী ছিল। এদিন অভিযুক্ত অফিসে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেন পুলিশে। ধৃতের বিরুদ্ধে ৩৭৬এবি এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নদিয়া জেলারই হাঁসখালিতে ঘটে যাওয়া আর এক নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনার তোলপাড় গোটা রাজ্য। হাঁসখালির বাসিন্দা ১৪ বছর বয়সী ওই নাবালিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রণ করার নাম করে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, গণধর্ষণের জেরে মাত্রাতিরিক্ত রক্তপাতে তার মৃত্যু হলে রাতারাতি প্রমাণ লোপাটের জন্য ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই পুড়িয়ে ফেলা হয় নাবালিকার দেহ। পুরো ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা সমর গোয়ালার ছেলে ব্রজগোপাল গোয়ালা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এই ঘটনার পর এবারের এই ঘটনায় কার্যতই তোলপাড় এলাকা জুড়ে।