বিহারে জন্ম নিল ৪ হাত,পা বিশিষ্ট বিরল শিশু! তারপর যা হল….

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পৃথিবীর বুকে নানান সময়েই ঘটে যায় নানান ব্যতিক্রমী ঘটনা। আর সেইসব ঘটনা নিয়ে বহুক্ষেত্রেই শুরু হয় তীব্র শোরগোল। এবার ঘটনাস্থল বিহার (Bihar)। সেখানকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে এক বিরল শিশু জন্ম নিতেই হতবাক হয়ে যান চিকিৎসক মহলের সকলেই।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে ঠিক কী কারণে আর পাঁচটা সন্তানের থেকে আলাদা ছিল সে ?

জানা গিয়েছে, সোমবার নবজাতক শিশু কন্যাটি চারটি হাত, চারটি পা এবং চারটি কান নিয়েই ভূমিষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, সেই শিশুর দু’টি হৃৎপিণ্ডও ছিল। এরপরেই সদ্যোজাতকে দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে যায় নার্সিংহোম চত্ত্বরে। অনেকেই এই শিশুকে দৈব আশীর্বাদ বলে আখ্যা দেন। আবার অনেকেই এটাকে বিরল শারীরিক অক্ষমতা বলে আখ্যা দেন। তবে, শিশুটির আয়ু ছিল ভীষণ কম। জন্মের মাত্র ২০ মিনিট পরেই সে মারা যায়।

সূত্রের খবর, গর্ভবতী অবস্থায় ছাপড়ার শ্যামচকে অবস্থিত সঞ্জীবনী নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল প্রিয়া দেবীকে। কিন্তু, প্রত্যাশিত সময়সীমার মধ্যে প্রসব না হওয়ায় তিনি শারীরিক অস্বস্তিতে ভুগছিলেন। এরপ্য হাসপাতালে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার শেষ করে অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটিকে পেট থেকে বের করে আনা হয়। কিন্তু, শিশুটিকে আর বাঁচানো যায় নি। তবে, প্রিয়া দেবী এখন ভালো আছেন।

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে শিশুটির ছবি। নার্সিং হোমের ডিরেক্টর ডাঃ অনিল কুমার জানান, ডাক্তারি পরিভাষায় এই ধরনের শিশুদেরকে বলা হয় সংযুক্ত যমজ। এক্ষেত্রে শিশুরা জন্মের পর থেকেই একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। তবে এই মেয়েটির ৪টি হাত, ৪টি পা, ৪টি কান, দুটি হৃৎপিণ্ড, দুটি মেরুদণ্ড এবং একটি মাত্র মাথা ছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা খুবই বিরল।

 


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর