ফাটল শুরু বন্ধুত্বে! তুর্কি ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলে গেল চীন

পাকিস্তানের নেতারা দাবি করেন যে চীনের সাথে পাকের সম্পর্ক হিমালয়ের থেকেও উঁচু। যদিও এটা সকলের জানা, চীন পাকিস্তানে বড়ো পরিসংখ্যার ইনভেস্ট করে রেখেছে তাই এই বন্ধুত। চীন পাকিস্তানকে কাজে লাগিয়ে তাদের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করতে চাই। যার জন্য CPEC নামক এক প্রজেক্ট ১ বছর ধরে পাকিস্তানে চালাচ্ছে চীন। যদিও এই প্রজেক্ট এখন বন্ধের মুখে। কিন্তু এতে যত ইনভেস্ট হয়েছে তার পুরোটাই পাকিস্তানকে দিতে হবে। অর্থাৎ চীন লোন হিসেবে টাকা প্রদান করে পাকিস্তানে প্রজেক্ট বানাচ্ছে। মূলত এতে লাভ চীনের হবে কিন্তু টাকা দেবে পাকিস্তান। আর এই কারণে চীন পাকিস্তানের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তবে প্রজেক্ট যেহেতু বন্ধের মুখে তাই এবার দুই দেশের বন্ধুতে ফাটল দেখা যাচ্ছে।

images 2019 10 18T185715.344

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, তুর্কীর ইস্যুতে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে বিরোধ উৎপন্ন হয়েছে। আসলে তুরস্ক বিশ্বে উৎপাত শুরু করেছে তথা সিরিয়ার উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। তুরস্কের মূল লক্ষ কুর্দ লড়াকুদের দমন করা। তুরস্কের এই আক্রমনের সবথেকে প্রথম বিরোধিতা করেছে ভারত সরকার। ভারত সরকার তুর্কীকে সংযত থাকার জন্য বলেছে। তুর্কীর বিরোধ করার জন্য সিরিয়ার সরকার ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। ভারতের সাথে সিরিয়া সম্পর্ক দৃঢ় করার কথাও বলেছে।

অন্যদিকে, তুর্কীর রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন আমেরিকা তদের ছাড় দিয়েছে সিরিয়ার সেনা পাঠানোর। এই মন্তব্যের পরেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তুর্কীকে পাল্টা ধমক দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যদি তুর্কী সিরিয়ায় সীমা পার করে তবে তাদের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেবে আমেরিকা। এখন চীনও খোলাখুলি তুর্কীর বিরুদ্ধে নেমে পড়েছে। চীন তুর্কীর আক্রমণকে নিন্দা জনিয়ে, অপারেশন বন্ধ করার দাবি করেছে। তবে তুর্কীর পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। পুরো বিশ্ব তুর্কীর বিরুদ্ধে গেলেও পাকিস্তান তুর্কীর সমর্থনে নেমে পড়েছে। কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই ইস্যু চলতে থাকলে পাকিস্তান ও তুর্কিকে পুরো বিশ্ব এক ঘরে করে দেবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।


সম্পর্কিত খবর