বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ থেকে বছর দুয়েক পর চিন ও আমেরিকার (China vs America) মধ্যে হতে পারে রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধ। মার্কিন বিমান বাহিনীর একজন শীর্ষ জেনারেলের দাবির পরই চাঞ্চল্য গোটা দুনিয়ায়। জানা যাচ্ছে, শীর্ষ আধিকারিদের কাছে একটি মেমো পাঠিয়েছেন তিনি। ওই মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ২০২৫-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমশই বাড়ছে।
আমেরিকার এয়ার ফোর্সের এয়ার মবিলিটি কম্যান্ডার হিসাবে কাজ নিযুক্ত আছেন ওই অফিসার। নাম জেনারেল মাইক মিনিহান। তিনি বলেছেন, ‘আমার মন বলছে চিনের বিরুদ্ধে ২০২৫ সালেই মধ্যে যুদ্ধ করতে পারি আমরা।’ এর পরই তিনি বলেছেন, ‘আমি আশা করি, আমি ভুল হব।’ অবশ্য মার্কিন সেনা আধিকারিকের ওই মন্তব্য যে পেন্টাগন কর্তৃপক্ষের নয় তা স্পষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু মিনিহানের দেওয়া একটি চিঠিতে আশঙ্কা করা হয়েছে, আগামী ২০২৪ সালে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে তাইওয়ানে। সেই নির্বাচনে চিন প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে ওই চিঠিতে। নিজেদের অংশ বলে তাইওয়ানকে দাবি করা চিনা সেখানে সেনা হামলাও চালাতে পারে। তা হলে আমেরিকাকে যুদ্ধ নামতেই হবে বলে মত মার্কিন সেনা জেনারেলের।
অবশ্য চিনের সঙ্গে এখনই যুদ্ধে নামার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন আমেরিকার ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে সাফ জানানো হয়েছে, ‘ওই অফিসারের মন্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত। তাতে চিনের সম্পর্কে ডিপার্টমেন্টের অভিমতের প্রতিফলন নেই।’ যদিও ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকার কর্তৃত্ব নিয়ে চিনের সঙ্গে টক্কর চলে আমেরিকার। ভারত মহাসাগরেও চিনকে ঠেকাতে কোয়াড গড়েছে চিন। চিনকে রুখতে আমেরিকার ভারত নির্ভরতাও গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু তাইওয়ান প্রণালীতে চিনের সেনার মহড়া যে আগামী দিনে আমেরিকা-চিনের বিবাদের কারণ হতে পারে, সেই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়াও যাচ্ছে না।
তাইওয়ানে নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ দখলই চিনের লক্ষ্য। সে জন্য প্রয়োজনের যে শি জিনপিংয়ের দেশ বলপ্রয়োগেও পিছপা হবে না, চলতি ঘটনাপ্রবাহ থেকেই তা স্পষ্ট। তেমন হলে আমেরিকাও যে পিছিয়ে যাবে না, এমনটাও মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।